দেশের বৌদ্ধ ও ক্রিশ্চিয়ান ভাইদের বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তাভাবনা খুব কমই চোখে পড়ে, মোটামুটি তারা চুপচাপ থাকে কিন্তু পাশের হিন্দু অধ্যুষিত দেশ ভারত হওয়ায় দেশী হিন্দু ভাইয়েরা মাঝে মাঝে ধরাকে সরা ভাবে। ঐ মাঝে মাঝে সময়টা হলো যখন আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকে। এ সময়ে তাদের আট খুন মাফ। হু.মু এরশাদ ক্ষমতায় থাকলেও হিন্দু ভাইয়েরা খুবই সু নাগরিক হয়ে থাকেন, বিপত্তি শুধু বি এন পি আমলেই। পান থেকে চুন খসলেই হিন্দু, বৌদ্ধ ক্রিশ্চিয়ান ঐক্য পরিষদ সারা বিশ্ব ব্যাপি মানব বন্ধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন কনসুলার অফিসে স্মারকলিপি দেয়া শুরু করে দেন।
আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকলেই হিন্দু ভাইয়েরা সীমান্তসংলগ্ন গ্রমান্চল থেকে শুরু করে শহরের স্কুলগুলোতেও ইসলাম ও নবীদের নামে কটুক্তি ও নানা নীচ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে। মুসলীমনামধারী কিছু 'Pseudo' নাস্তিক ব্লগারের সাথে তাল মিলিয়ে কেন শুধু ইসলামের বিরুদ্ধেই অপপ্রচার সহ কুৎসা গাইতে হবে?কেন ক্রিশ্চিুয়ানিটি বা স্ব-ধর্ম হিন্দুইজমের কোন সমালোচনামূলক কথা বলেন না?মুক্তচিন্তা বা বাকস্বাধীনতার টার্গেট কেন শুধু ইসলামই হয়?? আমার বিণীত প্রশ্ন কেন এমন করেন উনারা?
দেশের সিমান্তে ভারতীয় বি এস এফেরা যখন গুলি করে বাংলাদেশীমানুষ মারে লীগ সরকারতো কিছু বলেই না হিন্দু কোন ভাইকেও দেখলাম না কখনো কোন প্রতিবাদ করতে। ইহা কেন???ভাইদের আওয়ামী প্রেম কেন এতো?বি এন পি'র কি দোষ?সংখালঘুদেরকে আওয়ামিলীগ রিজার্ভ ভোট ব্যান্ক হিসেবে দেখে, আর সংখালঘু ভাইয়েরাই কেন 'অটো' তাদের হয়ে যান?তাদের দেখবালের দায়ীত্ব কি আওয়ামিলীগেরই হাতে?প্রধানমন্ত্রীর 'মা গজে চড়ে এসেছেন.....' টাইপের পলিটিকাল স্টান্টবাজী কথায় ই আপনারা আওয়ামিলীগের পদতলে বেহেশত খুঁজে পান?
বাংলাদেশ আমাদের সবার, হিন্দু বৌদ্ধ, ক্রিশ্চিয়ান ও মুসলীমদের। দেশের দূর্যোগপূর্ণ সময়ে সবাইকে নিঃস্বার্থ ভাবে দেশের ভালোর জন্য, দেশের সবার শান্তিপূর্ণ সহবস্থান ও বসবাসের জন্য একসাথে কাজ করা উচিত। সিলেক্টেড কারো পদতলে বেহেশত না খুঁজে,কু ইশারায় না নেচে যা সত্য যা উচিত তাই সাপোর্ট করা কাম্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।