আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনিশ্চয়তায় স্থলসীমান্ত চুক্তির ভবিষ্যৎ

দুই তৃতীয়াংশ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন না পেলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার এ বিল পাস করতে পারবে না। আর সেক্ষেত্রে স্থল সীমান্ত চুক্তির ভবিষ্যত ঝুলেই থাকবে।   
মঙ্গলবার অধিবেশন চলাকালে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রেলমন্ত্রী পবন কুমার বানশাল ও আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা কোনো বিল পাস হতে দেবে না।
রেলে নিয়োগে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে মন্ত্রী বানসালের ভাতিজা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে বিরোধীদলের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। আর কয়লা খনি বরাদ্দে অনিয়ম তদন্ত নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের মুখে আছেন অশ্বিনী কুমার।


বিজেপির বিরোধিতার মুখে এদিন পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ রাজ্য সভায় সংবিধান সংশোধন বিলটি তুলতে গিয়েও ব্যর্থ হয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার।
এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদের কাছ থেকে সংবিধান সংশোধন বিলের একটি অনুলিপি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন আসামের আঞ্চলিক দল আসাম গণ পরিষদের দুই পার্লামেন্ট সদস্য।
ছিটমহল বিনিময়সহ গত বছর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকলের প্রবল বিরোধিতা করে আসছে আসামের এই দলটি।
অধিবেশন মুলতবি করে দেয়ার পর আসাম গণ পরিষদের পার্লামেন্ট সদস্য বিরেন্দ্র কুমার বৈশ্য সাংবাদিকদের বলেন, “আসামের স্বার্থহানী হয় এমন যে কোনো বিলের বিরোধিতা করব আমরা। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরাও সুসম্পর্ক চাই, কিন্তু তা আসাম বিকিয়ে দিয়ে নয়।

”  
বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের সীমান্তে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল বিনিময়ের জন্য ১৯৭৪ সালে ‘স্থলসীমান্ত চুক্তি’ হলেও সংবিধান সংশোধনের জটিলতার কারণে বিষয়টি তখন থেকেই ঝুলে আছে।  
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ওই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রটোকলে সই করেন। প্রটোকল কার্যকর করার জন্য ভারতের মন্ত্রিসভা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সংবিধান সংশোধন বিলের খসড়া অনুমোদনও করে। কিন্তু বিরোধী দলকে রাজি করাতে না পারায় সেই চুক্তির ভাগ্য এখনো ঝুলেই রয়েছে।
সংবিধান সংশোধনের এই প্রস্তাব পাস করতে হলে ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয়কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভায় অন্তত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন দরকার, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট সরকারের যা নেই।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.