আগে ভাবা হত সবুজ ব্যাঙ শুধু বাংলাদেশের সুন্দরবনের গ্রামীণ জলাশয়গুলোতেই পাওয়া যায়। পরে ভারত ও মিয়ানমারে সবুজ ব্যাঙের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের মধুপুর, ভাওয়াল গড়ের পুকুরেও এই ব্যাঙ পাওয়া যায়। পুকুরটাতে জমাট হয়ে এক ধরনের দাম (জলজ গুল্ম) ব্যাঙগুলোর স্বাভাবিক বাসস্থান হয়ে উঠেছে। লতানো জলজ উদ্ভিদগুলোর রং নীলচে সবুজ।
এর মধ্যে ব্যাঙগুলো মাথা জাগিয়ে ভেসে থাকে, বিপদ দেখলে টুপ করে ডুবে যায়। দামের ডাঁটা হলদে, পাতা সবুজ। এই পাতার সঙ্গে সবুজ ব্যাঙ এমনভাবে মিশে যায় যে ভালো করে লক্ষ না করলে এদের দেখতে পাওয়া যায় না।
সবুজ ব্যাঙ (ইংরেজি ভাষায়: Green Pond Frog) জলজ ব্যাঙের একটি প্রজাতি যা ভারতীয় ও শ্রীলংকান উপদ্বীপে পাওয়া যায়। কাছ থেকে দেখে বোঝা যায়, সত্যিই অসাধারণ সুন্দর এই সবুজ ব্যাঙ।
এর দেহের উপরিভাগের রং পাতাসবুজ। এর পিঠের শিরা, ডানার কাছটার রং সবুজে হলুদ। ছোট ব্যাঙের রং হালকা সবুজ। বয়স্ক ব্যাঙের পিঠের দিক থেকে শুরু করে পেছন ও পা গাঢ় সবুজ। এর পেটের দিকটা সবুজাভ অথবা লালচে হলুদ রঙের।
এই ব্যাঙের বৈজ্ঞানিক নাম "Euphlyctis hexadactylus"। নাকের ডগা থেকে পশ্চাদ্দেশ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১৩০ সে.মি.। সোনা ব্যাঙের (১৬০ সে.মি.) চেয়ে সামান্য ছোট। সবুজ ব্যাঙের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর খাদ্যাভ্যাস।
অন্যান্য সব ব্যাঙ জ্যান্ত কীটপতঙ্গ, সরীসৃপ খেয়ে বাঁচে, সামান্য পরিমাণ সবজি খায়।
সবুজ ব্যাঙের খাদ্যের ৮০ শতাংশ আসে সবজি থেকে। বাকি ২০ শতাংশ জীবন্ত কীটপতঙ্গ। মেয়ে সবুজ ব্যাঙ পুরুষের চেয়ে আকারে বড় হয়। অন্যান্য ব্যাঙের হাত-পায়ের আঙুলগুলো পাতলা চামড়ায় জড়ানো। সবুজ ব্যাঙের হাতের আঙুলগুলো পৃথক।
সবুজ ব্যাঙের ডাক অনেকটা সোনা ব্যাঙের মতো। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে একেকটি ব্যাঙ আলাদাভাবে থাকে। সাধারণত দিনেই এরা বেশি সচল, তবে রাতেও সচল হয় প্রয়োজনে। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর এদের মিলনের সময়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।