লাইনে আসুন, নইলে...........
সৌদি কুটনৈতিক খালাফ আল আলী হত্যাকান্ডের তদন্তের কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই এখন বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেনা সৌদি সরকার। গত সপ্তাহে এই বিষয়ে সৌদি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনির সৌদি আরব আসার কথা ছিলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিসা না পাওয়াও সেই চেষ্টাও বেস্তে গেছে। যার পরিনতিতে সৌদি পুলিশ প্রশাসন হার্ডলাইনে যেতে শুরু করেছে। আগে বৈধ কাগজ-পত্র ছাড়া কোনো বাংলাদেশী পুলিশের হাতে ধরা পড়লে বিভিন্নভাবে তাদেরকে ছাড়িয়ে নেয়া যেতো কিন্তু এখন তা সম্ভব হচ্ছেনা।
অনেকে আকামা নবায়ন করতে দেয়ার তাদের সাথে আকামা না থাকার কারনে তাদেরকেও দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে চালানো হচ্ছে বিশেষ অভিযান। বিভিন্ন এলাকায় উশৃওংখল সৌদি নাগরিকদের মারধরের শিকার হতে হচ্ছে বাংলাদেশী নিরিহ নাগরিকদের। সৌদি প্রশাসন থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে এই কঠোরতা আরো ব্যাপক আকার ধারন করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার যদি খালাফ হত্যা সুষ্ঠ বিচার করতে না পারে তাহলে বাংলাদেশকেও থাইল্যান্ডের মতো পরিনতি বরণ করতে হতে পারে(উল্লেখ্য গত কয়েকবছর আগে থাইল্যান্ডে সৌদি নাগরিক হত্যার জের ধরে সৌদি সরকার থাইল্যান্ড থেকে তাদের দুতাবাস সংকোচন করে নিয়েছে এবং সৌদি নাগরিকদের সেদেশে ভ্রমন নিষিব্ধ করা হয়েছে)।
এ অবস্থায় সৌদি আরবে অবস্থারত বাংলাদেশী শ্রমিকরা চরম আতংক এবং নিরাপত্তাহীনতায় দিনানিপাত করছেন। তার সাথে যুক্ত হয়েছে নানান ধরনের গুজব। এই মুহুর্তে বাংলাদেশ সরকারের উচিত অতিদ্রুত খালাফ হত্যার তদন্ত কাজ শেষ করে দোষী ব্যাক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার মাধ্যমে সৌদি সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক বৃব্ধি করে প্রবাসীদের নিরাপত্তা বিধান করা।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।