https://www.facebook.com/chairmanzerozero7 প্রথমেই বাংলাদেশ টিম কে জানাই অজস্র শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন প্রত্যাশিত এ জয় এনে দেওয়ার জন্য।
ডিয়ার বেরাদর ও চিস্টার সকল আইজকা আফনেগো হুনামু চেয়ারম্যানের আরেক কুকির্তী। আস্তে জায়গায় বেরেক মারেন,মনে কইরেন না আবার কুনু ইসকেন্ডাল ভিডিও পুস্টামু যাউকগা আইজকার লেখায় কুনু লুল নাই সো আফার আউগায়া বন আর লুল ভাইয়েরা মুখটা বদনার মতো কইরা তফাতে গিয়া খাড়ন ,নাইলে ১ টিকিটে ২ ছবি দেইখা আহেন।
হেই সময় আমি চুডু । এক শুক্বুরবারে বরাবরের ন্যায় সুবোধ পোলার লাহান বরাদ্দকৃত পোলাওের পেলেট খান লইয়া ভইনের লগে গিয়া বইলাম।
আর একখান চান্দের হাসি দিলাম। ভইনে বুঝলো মতলব ভালানা। হে চামের উফরে সাইড লইলো। একটু সাইডে গিয়া বইলো। আমিও ভইনেরে দেহাইয়া রোস্টে এক খান চাটন দিলাম
ভইনে কয় ঐ খাচ্ছর করছ কি ?
কইলাম দ---খ---ল দিলাম
অফ যা বাকিটা পরে বুঝবি।
উকটু পরে দেহি ভইনে গেছে পানি খাইতে। আয়া দেহে পেলেটের রোস্ট নাই। কয় কিরে আমার রোস্ট কই?
আমি কইলাম কাউয়া লইয়া গেছে।
হেয় তো চিক্কুর দিয়া কান্দন আর আমারে কিল .বাংলা চিনেমার পুলিশের লাহান কাহিনির শেষে আম্মা আইলো। আয়া কয় অই বান্দরের দল থাম আইন নিজের হাতে তুইল্লা লইছ না।
আফায় ইনায়া বিনায়া কাইন্দা কুইট্টা কি বুঝাইলো কে জানে ( আমি তহন খাওন লয়া বিজি ) বিগ্গ আদালত মাইনে আম্মাজান রায় দিলো আমার রোস্ট হেরে দিয়া দিতে।
আমি কইলাম নু ফলবলেম, ভইনের লাইগ্গা জীবন দিতাম পারি আর এইডা তো সামান্য মুরগীর রান। কইলাম ভইন গো লও রোস্ট লও ..
হেয় কয় খামু না,ঐডাতে তো চাটন দিছস। আহারে আমার বেরেনের কাছে কিন্চিৎ মাইর খাইয়া গেলো। কইলাম অহনে বুঝছস উকটু আগে কেন চাটন দিছিলাম
যাউকগা আম্মায় দেহি হেরে ১ টার বদলে ২ টা রোস্ট আইনা দিলো।
বারী সিদ্দীকির লাহান দরদি গলায় গাইলাম
"নিঠুর ভইনরে ..এ..এ বলেছিলে রোস্ট দিবে
বইসা আছি এই ভেবে ,দিলে কি নাহি দয়া হয়...ও ও ভইনরে.." আমার গান শুইনা না আমার ইভা রহমানের লাহান কন্ঠ শুইনা বুঝলাম না তয় আমারে হাফ দিয়া দিলো। খাশ দিলে ভইনের লাইগা দোয়া কইরা খাওন শুরু করলাম।
আরেকদিন আম্মা রান্না করতাছে আর আমি ভইনের লগে বইয়া পড়তাছি। ভইনের লগে বিটলামি শুরু করলাম। ভইনে দিলো বিচার।
মায়ে কয় ঐ তুই রান্নাঘরে চৌকি লইয়া আয়া আমার সামনে বইয়া পড়। আমিও তো এইডাই চাই পড়নের ফাকে থুক্কু খাওনের ফাকে ফাকে পড়ন যায়।
একটু পরে আম্মার হাত থাইক্কা কেমতে জানি লবনের বাটি পইড়া গেলো একটা ডেকচিতে যেইটাতে বেশ কইছু শিং মাছ জিয়াইয়া রাখা হইছিলো। লবন পড়তেই দেখি মাছ গুলান ময়ূরীর লাহান ডিংকা চিকা ড্যান্স শুরু করছে। আর আম্মা তাড়াতাড়ি পানি পাল্টাইতাছে।
জিগাইলাম পানি পাল্টাও কেন মেরে মা?
মায়ে কয় লবন পানিতে মাছ মইরা যায়। পরেরদিন সকালে দেখি তবু কিছু মাছ মইরা গেছে বা যাওনের দশা,আম্মা ঐগুলান দিয়া লেবু পাতা দিয়া চচ্চরী রানলো যা আবার আমার বেফুক প্রিয়। সো তথ্য খানা মাথায় গাথিয়া লইলাম যে লবন দিলে মাছ মরিয়া যায়।
২-৪ দিন পরে অধম চেয়ারম্যানের আবার মৎস চচ্চরী খাওনের প্রবৃত্তি হইলো।
নিজেরে জিগাইলাম ,কিরে চেয়ারম্যান?
হু
হু কিরে বেডা ক জ্বী।
তেনা পেচাইস না কি অইছে ক
চচ্চরী খাইতে মুন্চায়
আমারো
তাইলে সিস্টেম কর
কেমতে?
ঐ যে লবন থেরাপী
না আম্মায় মারবো
আরে ধূর এইসব কামে মায়েরে ডরাইলে চলে,ঐল্লাইগাই তো জাতি আজকে মহেশ গরুর ন্যায় হাড্ডি কংকাল সার
যাউকগা জিহাদী জোশের লগে রান্না ঘরের দিকে আউগাইয়া গেলাম। লেকিন আপচুচ আইজকা ডেকচিতে কুনু মাছ নাই। অতি আপচুচ।
তাই বলিয়া কি আমার চচ্চরী খাওয়া স্থগিত রহিবে? আলবৎ না। ড্রয়িং রুমে হান্দাইতে দেহি ১ মাস আগে কিনা চকচকা এক্যরিয়ামের ভিতরে হইলদা,লাল,নীল রংগের বিভিন্ন মৎস জলকেলী করিতেছে।
জায়গায় খাড়ায়া নগদে ডিশিসান লইলাম কপালে যা আছে আইজকা এক্যরিয়ামের মাছের চচ্চরিই খামু ভাবতে দেরী মাগার রান্নাঘর থাইক্কা মোল্লা সল্টের আধা প্যাকেট ঢালতে দেরী করি নাই। আমার কাম শেষ অহনে খালি অপেক্ষার পালা। আমি খালি বালা মাইনসের লাহান এক্যরিয়ামের ডাইনে বামে ঘুরি। ভইনে কয় কিরে তুই খালি ড্রয়িং রুমে ঘুরস কেন? পড়া নাই।
আমি কইলাম নিজের মাথায় তেল দে যা বেলাজা মাইয়া।
রাইতে তো আর আমার ঘুম নাই,সকালে উইঠাই দেহি কেল্লা ফতে। সব মাছের দল পেট ফুলাইয়া ভাইসা রইছে। খুশিতে দিলাম এক চিক্কুর। যার ফলে হাতেনাতে কট খাইলাম। আর ফলাফল স্বরুপ মায়ের হাতের লাঠির ডলা।
কান্তে কান্তে মায়েরে কইলাম যা হওনের তা তো হইয়াই গেছে অহনে মাছ গুলানরে দিয়া চচ্চরী রাইন্দা ফালাও। খাইয়া মাছগুলানের বিদেহী আত্নার লাইগা দোয়া খায়ের করুম নে।
মায়ে কয় আরে বেক্কলের বাটখারা এই সব মাছ খাওন যায়না,এই গুলান সাজানির লাইগ্গা।
মায়ের বেতের ডলা খায়া যতনা দুক্কু পাইছি,জীবনে পরথম ছ্যাকা খাইয়া যতোনা দুক্কু পাইছি,রোল ১ হইতে না পাইরা যতোনা দুক্কু পাইছি,ফেরেম করতে না পাইরা যতোনা দুক্কু পাইছি তার চাইতে মেলা মেলা বেশী দুক্কু পাইছিলাম ঐদিন অ্যাকুরিয়ামের মাছের চচ্চরী খাইতে না পাইরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।