আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-১
ব্যাংকক টু পাতায়া
সুর্ভনভূমি বিমানবন্দরের বাইরে আমাদের জন্য মাইক্রোবাস অপেক্ষা করছিল। ব্যাংকক থেকে আমরা এখন সরাসরি পাতায়া চলে যাবো। ব্যাংকক থেকে পাতায়ার দূরত্ব ১৫২ কিলোমিটার। আমরা নয়জন পাতায়ার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে উঠে বসলাম। প্রতিটা মাইক্রোবাসে ড্রাইভারসহ ১০জন বসা যাবে।
দশ জন মানে দশ জনই। এগারজন ঠাসাঠাসা উঠবে তা হবে না। থাইল্যান্ডে ট্রাফিক আইন অনেক কড়া। এরা লাল বাতি নীল বাতির প্রতি অনেকবেশি নির্ভরশীল। ড্রাইভারসাহেব আমাদের নয়জনকে নিয়ে পাতায়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো।
একেই বল হাইওয়ে রাস্তা। চার চার আটলেনের প্রশস্ত রাস্তা। গাড়ী ছুটছে ঘন্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে। হাইওয়ে রাস্তায় কোন বাঁক নেই। নাক বরাবর সোজা সরলরেখায় পাতায়া শহরের অভিমূখে চলে গেছে ।
একটা ফ্লাইওভারে উপর আরেকটা ফ্লাইওভার চলে গেছে উদ্দেশ্য একটা রাস্তায় কোন বাঁক থাকবে না। ভাবখানা এমন হাইওয়ে রোড যেকোন মূল্যে সরলরেখায় থাকতে হবে। পাতায়া শহরের ঢোকার আগমুহুর্তে রাস্তা সামান্য বাঁক নিছে, তার আগমুহুর্ত পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হাইওয়ে রাস্তা সরলরেখায় টানা হয়েছে। পাতায়া যাওয়া পথেই থাইল্যান্ডে প্রথম সূযাস্ত দেখলাম। রক্তিম সূর্য ধূসর মাঠে অস্ত গেল।
হাইওয়ে রাস্তার দুইপাশে ফাঁকা মাঠ। কোথাও কোথাও আমবাগান, কলাবাগান দেখে অবাক হবেন না। কখনও রাস্তার পাশে ছোট্ট টিলাও চোখে পড়বে। হাইওয়ে রাস্তার সবই ঠিক আছে শুধু বিরক্তকর বিষয় এখানে দিকনির্দেশনাগুলো সবই থাইভাষায় লেখা। থাইভাষা জানি না তাই গাড়ী আদ্য পাতায়া যাচ্ছে না ড্রাইভার সাহেব অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছে কিছুই বোঝার উপায় নেই।
আমি ক্লান্তিতে একটু চোখ বুজেছিলাম। মাইক্রোবাসের অন্যদের হুল্লোড়ে চোখ মেলে দেখি আমাদের মাইক্রোবাস শহরে প্রবেশ করেছে।
রাস্তার দু'পাশে দোকানের সারি। শহর জুড়ে নিয়ন আলোর ঝলকানি। স্বল্পবসনা নারী।
ড্রাইভার সাহেব বিনোদন বাড়িয়ে দিতে বলিল, 'কী লেডি লাগবে?' শুনিয়ে ছেলেদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো। এভাবে সরাসরি লেডির প্রস্তাব পাতায়া শহরে ঢোকার সাথে সাথেই পেয়ে যাবে ছেলেরা ভাবে নি। কে যেন বলছিল, থাইল্যান্ডের সব গাড়ীর ড্রাইভারই পেশায় দালাল। কথাটা সত্য, পরবর্তীতে তার প্রমাণ আমরা বহুবার পেয়েছি।
(চলবে...) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।