আর কতো, এভাবে মার খেতে হবে?
গতকাল (১১ মার্চ,২০১২। সকাল ৬:৩০। ) ঢাকায় আসার পথে সরকারি ক্যাডাররা যে মার দিল। তা এককথায় অবর্ণনীয়। কোন বাছবিচার নাই।
কোন নারী পুরুষ নাই। কি কারণে মার? ঢাকায় কেন আসছি। আরে বাবা, ঢাকায় কি সবাই মহাসমাবেশ করতে আসছে নাকি? লোকজনের কি মহাসমাবেশ সফল করা ছাড়া আর কোন কাজ নাই নাকি?
যাই হোক, মারের চোটে নৌকা উলটে গিয়ে বুড়িগঙ্গায় দুই শিশু নিখোঁজ। কোনমতে উদ্ধার করা হয় তাদের মায়েদেরকে। মারের হাত থেকে রেহাই পায়নি ছোট্ট শিশুটি কিংবা ষাট বছরের বৃদ্ধা।
সদরঘাটে লঞ্চ ভিড়তে দেয়নি। প্রায় দুই ঘন্টা বুড়িগঙ্গার মাঝখানে লঞ্চ থামিয়ে রাখে। আর যারা, নৌকা বা ট্রলার যোগে লঞ্চ থেকে নামতে যান, তাদের ওপর নেমে আসে, দুর্বিষহ মার & অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। সকাল ৭টা ৪৫ এর দিকে, লঞ্চ আরও কিছুদূর পেছনে চালিয়ে শ্যামপুর নিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ঢাকায় আসা আরেক ঝামেলা।
কোন বাস নাই। হাতেগোনা কয়েকটা লোকাল বাস আর ম্যাক্সি ও রিক্সাই ভরসা। আর ঢাকার বাইরে গমনেচ্ছুক যাত্রীদের কথা না হয় বাদ ই দিলাম। সব ধরনের দুরপাল্লার বাস বন্ধ। কাল তো তাও ট্রেন ছিল গুটিকয়েক।
আজকের কি অবস্থা জানিনা। আর বিশ্ব বেহায়া আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সা .খা. বলেছেন সরকার নাকি এসবের কিছুই জানেনা।
জানি, কোনো মিডিয়ায় হয়তো এ খবর প্রচার করবে না। কিন্তু আমি দেখলাম কি কি হল। পরিশেষে, সবার কাছে একটাই অনুরোধ, দোহাই আপনাদের আপনারা কেউ ঢাকায় এইসব কর্মসূচির পূর্বক্ষণে ঢাকার বাইরে যাবেন না কিংবা ঢাকায় আসবেনও না।
তা আপনার যত জরুরী দরকারই হোক না কেন? আপনার অফিসের বস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অথবা যান কবচ করতে আসা আজরাইলকে বলুন ধৈর্য ধরতে।
সরকারী দলের নেতা-কর্মী বা ছাত্রলীগের জন্য প্রধানমন্ত্রী আছেন, বিরোধীদলের জন্য খালেদা জিয়া আছেন কিংবা নিজদলের নেতা-কর্মীদের জন্য আছেন এরশাদ বা নিজামীরা। কিন্তুশালা, আমাদের মানে আমজনতার দুঃখ-দুর্দশা দেখার জন্য কেউ নেই, কোন কালে বোধহয় ছিলও না।
এই প্রতিহিংসার নোংরা রাজনীতি কি কোনদিনও বন্ধ হবে না? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।