ক্ষমতায় পা রাখার পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, " আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই, আমরা প্রতিযোগীতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী"। আজ আমরা কি তার নমুনা দেখতে পাচ্ছি? ঢাবিতে নিরীহ ছাত্র আবু বকর এর মৃত্যুর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল " এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এটা হতেই পারে"। আবার আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা শহীদ জিয়ার লাশ কবরে আছে কিনা তাই নিয়ে। আবু বকরের মৃত্যুর পর তদন্ত কমিটি গঠন হল, তারা রিপোর্ট দিবে তারপর সরকারের এ্যাকশন হবে। অথচ রাবিতে ফারুক হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ, কোন তদন্তের প্রয়োজন হল না।
এবং এই রাবির হত্যার জের ধরে সারা দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ জামায়াত-শিবিরের আফিস ভাংচুর করেছে, তাদের উপর হামলা করেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে, শিবিরের রুমে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। আজ এইমাত্র বি.ডি নিউজে দেখলাম রাবির শিবির নেতা পুলিশের গুলিতে নিহত। যদি কেউ দোষী হয় তাহলে তার জন্য আইন আছে, বিচার আছে। অথচ এসব কিছুর তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
ছাত্রলীগ, যুবলীগ নিজেদের হাতেই আইন তুলে নিচ্ছে। যেখানে ফারুক হত্যা যে আসলেই শিবির করেছে কিনা সেটা নিয়েই সন্দেহ রয়ে গেছে যা আমরা বিভিন্ন পোষ্টে লক্ষ্য করেছি। তারপরও সরকারের কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে তারা শুধু জামায়াত-শিবির নিধনে নেমেছে। সব হত্যাকান্ডেরই বিচার হওয়া উচিৎ কিন্তু সরকারের ভুমিকা অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে ঢাবি আর রাবি ছাত্রের মৃত্যু পরবর্তী সরকারের ভুমিকা।
আমি তো মনে করি রাবির এই ঘটনার জন্য সরকার অনেকাংশে দায়ী। কারন গত বছর যখন নোমানী মারা গেল সরকার যদি তখন হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করতেন তাহলে আজকের ঘটনা হয়ত এড়ানো যেত। প্রকৃত খুনীরা এতটা বেপরোয়া হওয়ার সাহস পেত না। এজন্য আমি সরকারের কাছে আবেদন করি দয়া করে উপযুক্ত দোষীদের খুজে বের করে শাস্তি দিন সে ছাত্রলীগ হোক আর ছাত্রশিবির হোক। শুধু কথায় আমরা বিশ্বাস করি না, আমরা কাজ দেখতে চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।