আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাহরির স্কয়ারে জড়ো হচ্ছে মুরসিবিরোধীরা

আমি নিজের মাঝে খুজে পেতে চাই আমার আমাকে। যেতে চাই বহুদূর। মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরোধীরা আজ রোববারের পূর্বঘোষিত গণবিক্ষোভে যোগ দিতে কায়রোর তাহরির স্কয়ারে জড়ো হতে শুরু করেছে। বিরোধীদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশটিতে আজ বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইসলামপন্থী নেতা মুরসির দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি হচ্ছে আজ রোববার।

এই দিনেই তাঁর পদত্যাগ চেয়ে দেশব্যাপী তুমুল বিক্ষোভ করা হবে বলে এক সপ্তাহ আগে ঘোষণা দেয় বিরোধীরা। এই কর্মসূচি সামনে রেখে মুরসিবিরোধীরা আগে থেকেই ছোটখাটো বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের রুখে দিতে মুরসির সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মী-সমর্থকেরা রাজপথে নেমে এলে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উভয় পক্ষের মধ্যকার এই সংঘর্ষ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। গত শুক্রবারের সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে।

এর মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক। সারা দেশে আহত হয়েছে কমপক্ষে দেড় শ লোক। যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহল এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আজ গণবিক্ষোভে যোগ দিতে তাহরির স্কয়ারে গতকালই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী তাঁবু ফেলে জড়ো হওয়া শুরু করে। তাদের সেখানে রাতভর অবস্থান করতে দেখা গেছে।

বিরোধীরা জানিয়েছে, প্রায় দুই কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশটিতে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে একটি আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষরকারীদের আজ তাহরির স্বয়ারে আসারও আহ্বান জানানো হয়েছে। তাহরির স্কয়ার থেকে বিক্ষোভ করে প্রেসিডেন্ট মুরসির কার্যালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিক্ষোভকারীদের। দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থনে রাজধানী কায়রোর রাজপথে নামার কথা রয়েছে তাঁর সমর্থকদের। এ কারণে মুরসির সমর্থক ও তাঁর বিরোধীদের মধ্যে আজ আরও বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মুরসির বিরোধী এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করব। কেউ যদি আমাদের ওপর হামলা চালায়, তবে আমরা নিজেদের রক্ষা করব। উভয় পক্ষকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। শুক্রবারের সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার জরুরি কর্মী ছাড়া মার্কিন কূটনৈতিক কর্মকর্তারা নিরাপত্তাহীনতাবোধ করলে তাঁরা মিসর ছাড়তে পারেন বলে ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মিসর সফর না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দেশটির নাগরিকদের।

আলেকজান্দ্রিয়ায় গত শুক্রবারের সহিংসতায় একজন মার্কিন নাগরিকসহ দুজন নিহত হয়েছে। সেখানে আহত হয়েছে ৭০ জনের মতো। এ ছাড়া পোর্ট সাইদে বিস্ফোরণে আরেকজন মারা গেছে। ক্ষমতাসীন ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির (এফজেপি) আদর্শিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড দাবি করেছে, আলেকজান্দ্রিয়াসহ আটটি স্থানে তাদের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষ বেধে গেলে মুরসিবিরোধীদের একজন প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়।

কর্মকর্তারা বলেছেন, কায়রো, আলেকজান্দ্রিয়া, মানসুরা, পোর্ট সাইদের পাশাপাশি নীল বদ্বীপ অঞ্চলভুক্ত দাকাহলিয়া ও বেহেইরা এলাকায়ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.