আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতন্ত্রের সংজ্ঞা

বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন] গণতন্ত্র শব্দটির অর্থ "জনগণের শাসন", কোন রাষ্ট্রের অথবা কোন সংগঠনের এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের নীতিনির্ধারণ বা প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমান ভোট বা অধিকার আছে। যদিও গণতন্ত্র শব্দটি সাধারণভাবে একটি রাজনৈতিক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয় তবে অন্যান্য সংস্থা বা সংগঠনের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রমিক ইউনিয়ন, রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। বিখ্যাত গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ভাষায়, সাধারণভাবে আমরা বলতে পারি, যে ব্যবস্থায় প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়নি তা কুলীনতন্ত্র এবং যেখানে প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে তা গণতন্ত্র।

আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম রাষ্ট্রপতি এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রথম রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিঙ্কন তার দুমিনিটকাল স্থায়ী ১৮৬৩ সালের ১৯ নভেম্বরে প্রদত্ত গেটিসবার্গ বক্তৃতায় বলেন, জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা পরিচালিত সরকার এবং জনগণের স্বার্থে পরিচালিত সরকার পৃথিবী থেকে মুছে যাবে না। এবার আমি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি গণতন্ত্রের আরো কিছু সংজ্ঞার প্রতি। গ্রিক দার্শনিক প্লেটো গণতন্ত্রকে মূর্খের শাসন বলে চিহ্নিত করেছেন। তার মতে, যে কোনো সমাজে তাদের সংখ্যাই বেশি। আরেক গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের মতে, গণতন্ত্র নিম্নস্তরের শাসনব্যবস্থা।

এমিল ফাগুয়ে গণতন্ত্রকে বলেছেন, অক্ষমতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ। আধুনিককালের ট্যালির্যান্ড গণতন্ত্রকে চিহ্নিত করেছেন মন্দ লোকদের সরকাররূপে। আমাদের দেশে যারা নিজেদের গণতন্ত্রের চর্চাকারী বলে দাবী করেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কোন ধরণের গণতন্ত্রের তারা চর্চা করেন, যে গণতন্ত্র জনগণের স্বার্থে পরিচালিত সে গণতন্ত্র, নাকি যে গণতন্ত্র মন্দ লোকদের সরকাররূপে পরিচিত, যেখানে অক্ষমতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয় সে গণতন্ত্রের? তথ্যসূত্রঃ গণতন্ত্র গণতন্ত্র কি? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।