In old-town, Warsaw with Thomas and Fredrick
সক্রেটিস গেস্ট হাউস-এ আমাদের ঘরটা ছিল পাঁচ তলার উপরে। একদিন বিকেলবেলা আমরা শহর-টা ঘুরে দেখব বলে ঠিক করলাম। বেরোনোর সময় গেটের সামনে দেখা হলো দুটো ছেলের সাথে। শুভদীপ আলাপ করিয়ে দিল ওদের সাথে। থমাস আর ফ্রেডরিক।
সুইডেনের বাসিন্দা, পড়ে উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে সামার ইন্টার্নশিপ করতে এসেছে। শুভদীপ যে প্রফেসর-এর সাথে এখানে কাজ করছে (ডক্টর দারিউজ প্লেসেনস্কি), থমাস তার কাছেই এসেছে দু মাসের জন্য কাজ করতে। ফ্রেডরিক অবশ্য অন্য প্রফেসর-এর সাথে কাজ করছে। কিন্তু ওরা দুজনে খুব বন্ধু।
বিকেলবেলা তখন বাইরে বেশ ঠান্ডা। আমাদের গায়েও যথেষ্ট গরম জামা। কিন্তু ওরা অক্লেশে একটা টি-শার্ট আর বারমুডা প্যান্ট পরে দাঁড়িয়ে আছে দেখে বেশ অবাক লাগলো। আর আমাদের শীতে কাতর হতে দেখে ওরাও কিন্তু রসিকতা করতে ভুলল না। কথায় কথায় ওদের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে আগামী রবিবার দিনটা পোলিশ লোকেদের কাছে নাকি একটা বিশেষ দিন।
থমাস জানালো যে প্রায় চারশ বছর আগে এই দিনে পোলিশ আর সুইডিশ-দের মধ্যে একটা যুদ্ধ হয়েছিল, আর সেই যুদ্ধে পোলিশ-রা জয়লাভ করে। সেই সময় থেকে প্রতি বছর এই দিনটা তারা বিশেষ ভাবে স্মরণ করে। আর ওয়ারশ-এর কেন্দ্রস্থল ওল্ড-টাউনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এখানেই জানিয়ে রাখি যে এই ওল্ড-টাউন হলো ওয়ারশ-এর সবচেয়ে পুরনো জায়গা। পুরোনো রাজবাড়ি আর শহরের আদি-প্রাণকেন্দ্র।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির আগ্রাসী সৈন্যবাহিনী এই ওল্ড-টাউন পুরোটাই ধ্বংস করে দেয়। পরে পোলিশ-রা এই জায়গাটা আবার আগের মত করে গড়ে তোলে। যাই হোক, থমাস-দের কাছ থেকে গল্প শুনে জায়গাটায় যাবার লোভ সামলাতে পারলাম না। ঠিক হলো সামনের রবিবার আমি, শুভদীপ, মিষ্টি বেড়াতে যাব ওয়ারশ-এর ওল্ড টাউন-এ থমাস আর ফ্রেডরিক-এর সাথে।
গল্পের বাকি অংশটা এখানে পড়ুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।