আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তোফায়েল যখন বলেছে, “কনফার্ম জিত” তখন বুঝতেই হয়, খেলা একটা আছে!

জগ কী সেই খেলাটা? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে গাজীপুরে সকল প্রশাসনে নির্দেশনা গেছে- “যার কেন্দ্রে আম্লীগ হারবে, তার চাকরী যাবে!” প্রশাসনের সকল স্তরে এখন বলাবলি হচ্ছে, গাজীপুর এখন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস্টিজ কেস! তিনি একটা আসন চান, তাকে নাকি দিতে হবে! ...মোটকথা, গাজীপুরে নির্বাচন হচ্ছে আজমতের নয়- মান্নান বনাম হাসিনা! তো, ভোট কেটে, ফলাফল লিখে নিয়ে যাবে হাসিনার লোকজন, এই তো! বিএনপির কর্মীদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আর পুলিশী হয়রানির উপর রাখবে। এই ফাঁকে সব উলট পালট করে ফেলবে! ভয়াবহ পরিকল্পনা হাসিনার। তবে সরকারী কর্মকর্তা ও ভোটগ্রহনকারী কর্মকর্তারাও বেশ নাখোশ প্রধানমন্ত্রীর “চাকরি খাওয়ার হুমকিতে। ” তারাও হিসাব কষে ফেলেছে, যতই চিৎকার করুক, হাসিনার আর সেই সময় সুযোগ নাই। কাজেই যা ঘটার, তাই ঘটবে।

হাসিনা হিসাবে নেয়নি, ঢাকার পায়ের নীচে গাজীপুরে থাকবে হাজার হাজার ক্যামেরা, সাংবাদিক, অবজার্ভার, বিভিন্ন দূতাবাসের লোকজন। ভোট কাটাকাটি শুরু হইলে আগুণ জ্বলবে চারিদিকে- কেন্দ্রে আগুণ, থানা, পুলিশ, ডিসি, এসপি, কেউ বাদ যাবে না। মোটকথা লঙ্কাকান্ড বেধে যাবে। বাঁচার কোনো উপায় নাই। সাথে সাথে আক্রান্ত হবে রাজধানী।

আপাতত প্রস্ততি এমনই। অন্যদিকে ২ দফা জিতে মান্নান নির্বাচনে। প্রথম দফা, বিএনপির অভ্যন্তরীন প্রার্থী বাছাইয়ে জিতেছে। আর দ্বিতীয়ত, তিন জনের মধ্যে লটারীতে জিতে সে ’টেলিভিশন’ প্রতীক নিয়ে দাড়িয়ে আছে। আর আজমত হেরে গেছে দলের মধ্যে প্রথমে।

এরপরে জাহাঙ্গীরের প্রার্থীতা বাতিল করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তৃতীয় দফায় হাসিনাকে দিয়ে অন্যায় ভাবে জাহাঙ্গীরের হাত পা বেধে মুখ বন্ধ করে রেখে। জাহাঙ্গীরের চোখের পানি ছড়িয়ে গেছে হাজার হাজার তরুন আম্লীগ কর্মীর চোখে! তোফায়েল বলছেন, আজমত ১৭ বছর উন্নয়ন করেছে! হ্যা ঠিকই বলেছেন তিনি! ওদের সবার মাথায় যখন ছাতা, মানে বৃষ্টি হলেই টঙ্গীবাসী টের পায় আজমতের উন্নয়ন! সবার ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ে আজমতের উন্নয়নের পানি। তোফায়েলের মুখে থু থু দিয়ে ৬ তারিখে টেলিভিশনে তারা বিজয়ের মুখ দেখাতে বদ্ধপরিকর। । আর হেফাজত তো আছেই।

হেফাজতের খাস দেড়লাখ একচেটিয়া পড়বে। ঘোষণা এসেছে- যেখানেই ভোট সেখানেই হেফাজত। ছেচা তো কেবল শুরু হইছে। এটা চলবে যগ যুগ ধরে। কোরআন পোড়ানো আর কোরআনে হাফেজ হত্যা করার পরিনাম যে কী ভয়ঙ্কর, হাসিনা সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাবে! — ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।