এখানে অসতেরা জনপ্রিয়, সৎ মানুষেরা আক্রান্ত-হুমায়ন আজাদ। তোফায়েল আহমেদ টের পেয়েছিলেন আদব দলনেত্রী হাসিনা তাকে নিয়ে বান্দর নাচ খেলবেন। তাই উনি মন্ত্রী হওয়ার ডাকে সাড়া দেননি।
মন্ত্রী বানানো রাজনৈতিক কাজ। এটা ডিল করতে হয় রাজনৈতিকভাবে।
হাসিনা মনে করেছিলো, তোফায়েল মেনন তো চাকরে রূপ নেবে, এদের সাথে আবার কিসের রাজনৈতিক ব্যবহার। তাই একজন আমলা দিয়ে এদের ডাকা হলো শপথ নিতে। অপমানজনক মনে হওয়ায় প্রত্যাখ্যান করলেন।
২০০৭ সালে আওয়ামীলীগের RATS (রাজ্জাক, আমু, তোফায়েল, আর সুরঞ্জিত) ছিল সংস্কারবাদী। জেনারেল মইনের সাথে লাইন করে হাসিনাকে মাইনাস করার তরিকায় ব্যস্ত ছিলো।
২০০৯ সালে হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে বাবু সুরঞ্জিত পাশের দেশের প্রনব দাদাকে দিয়ে যার পর নাই চেষ্টা করেছেন মন্ত্রী হতে, বিরামহীন লিপ সার্ভিস দিয়েছেন। অবশেষে রেল মন্ত্রী হবার পরে এপিএসকে দিয়ে ৭০ লাখ টাকা ঘুস ধরা পড়েন। চাপের মুখে হাসিনা নির্দেশ দেন সুরঞ্জিতকে পদত্যাগ করতে। ততদিনে সুরঞ্জিতের রাজনীতি চির জীবনের জন্য শেষ। এভাবেই হাসিনা শিক্ষা দেয় সুরঞ্জিতকে।
তোফায়েল তেমন একটি শিক্ষা পেতে চান না বলেই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ডাকে সাড়া দেন নাই।
রাশেদ খান মেনন সাহেবের বক্তব্যও পরিস্কার। মহাজোটের এ নেতা বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় মন্ত্রিপরিষদের যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সেটি কখনোই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ ছিল না। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ফোন করে আমাকে বলেন, আপনাকে আগামীকাল মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে হবে, প্রস্তুতি নিন। কোনো সভ্য দেশে এভাবে আমন্ত্রিত হয়ে কেউ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয় কি না তা আমার জানা নেই।
এটা যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ ছিল না প্রধানমন্ত্রীর গতকালের (শপথ অনুষ্ঠানের পর) কথায়ও তা স্পষ্ট। ’
যে সরকারের প্রধান উদ্ধত ও ঃআদব তাদের জন্য তোফায়েলমেনন চপেটাঘাতই উত্তম জবাব।
লিখাটি এখাণ থেকে নেওয়া হয়েছে https://www.facebook.com/qamrul.islam
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।