ও আচ্ছা এই বিষয়! খারাপ না কিন্তু আমি বললাম -আচ্ছা ভাই আপনার নাম কি?
লোকটি বলল তার নাম মাসু। আমি বললাম-এখন যদি কেউ বলে এইডা একটা নাম হইলো?তখন আপনার কেমন লাগবে?
মাসু বলল-মোটেও ভাল লাগবেনা। সালার নাক ফাটায়া দিমু না।
আমি বললাম -না না ফাটাফাটির দরকার নেই। এখন আপনিই বলেন তেজপাতা আক্তার কি কোন অদ্ভুত নাম?
মাসু বলল-কক্ষনো না।
মাসু আচমকা বলে উঠল -ভাই যদি আপনের তাড়া না থাকে তাইলে আমারে একটু সময় দেন,চলেন আমরা হোটেলে বসে কিছু খাই।
আমি বললাম-খাবো না শুধু বসব।
লোক টি বলল-না ভাই খাইতে আপনের হইবই।
আমার তখনি কিছু সতর্কবাণীর কথা মনে পড়ে গেল। অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু খাওয়া ঠিক নয়।
কিন্তু আমার কথা হচ্ছে লোকটি অপরিচিত কোথায় ?আমি তো তাকে চিনি,তার নাম মাসু।
পরক্ষনেই বললাম -আচ্ছা আচ্ছা আপনি যখন এতো করে বলছেন তাহলে ভাবো । আগে চলুন গিয়ে দেখা যাক খাওয়ার কি আছে।
যাই হোক আমরা এখন হোটেলে বসে আছি। হোটেলের চতুর্দিকে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন লাগানো।
তবে সিগারেটের বিজ্ঞাপনই বেশী। এবং যেটা সবচেয়ে বেশি আমাদের জানা সেটাই বেশী লাগানো । যেন জানা জিনিসটাই আমাদের আবার নতুন করে জানাচ্ছে। আর সেটা হলো-ধুমপান স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক।
কে বলেছে সিগারেট ফুকবেনা !তা হবেনা তা হবেনা।
পারলে কলকি নাও তাতেও ধরাও। রাতারাতি মহাপরিচালক বনে যাও।
আমারি সামনে বসা এক লোক তো ৭৫বছরের পুরনো ট্রেনের ইন্জিনের মতো নাকে মুখে অদ্ভুতভাবে ধোয়া ছাড়তে লাগল। যেন সিগারেট খাওয়ার নীরব প্রতিযোগীদের একজন।
ছোট খাটো একটা ছেলে আসল।
কি দিমু-বলে যে একটা পোজ নিয়ে দাড়াল। তাতে করে আমার হালকা ভয় লাগল। একি অর্ডার নিতে এসছে নাকি চাদা তুলতে?
আমি মজা করে বললাম -হানি খামু,হিল্টারের হানি খামু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।