সুযোগের অভাবে ভদ্র সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) বর্তমান চেয়ারম্যান এটি আহমেদুল হক চৌধুরী মনে করেন সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা মানেই বৈষম্য। সারা পৃথিবীতেই কোটা নিয়ে অসন্তোষ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে কোটা নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। পিএসসি’র নতুন চেয়ারম্যান বলেন, কোটা নিয়ে আমাদের (পিএসসি’র) কিছুই করার নেই।
উল্লেখ্য, পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. সা’দত হুসাইনের আমলে সরকারের কাছে কোটা ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি সুপারিশ করা হয়েছিল। এতে কোটা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ বাতিল না করে মেধা কোটা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছিল।
বর্তমান চেয়ারম্যানও নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার ব্যাপারে পরোক্ষভাবেই নেতিবাচক মন্তব্য করলেন।
এদিকে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে নানা ধরনের কোটা ব্যবস্থাকে আরো সম্প্রসারিত করার নির্দেশ দেয়ার ফলে সব ধরনের নিয়োগে মেধাবীদের স্থান গৌণ হয়ে পড়েছে।
প্রথমবারের মত বিসিএস পরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম অনলাইনে চালু করার পরিপ্রক্ষিতে পিএসসি’র ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সংস্থারটির চেয়ারম্যান এটি আহমেদুল হক চৌধুরী বলেন, অনলাইনে আবেদন করার ফলে সময় ও অর্থ দু’টিই সাশ্রয় হবে এবং আগামি মে মাসের শেষ সপ্তাহে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠান সম্ভব হবে। অনলাইন আবেদন কার্যক্রম চালুর ফলে বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর ৩৩তম বিসিএসে চূড়ান্ত ফল এক বছরের মধ্যে ঘোষণা করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান এটি আহমেদুল হক চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, চার হাজার ২০৬টি শূন্য পদে প্রথম শ্রেণী সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য আগামি ৮ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ৭ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে পরীক্ষার আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমা দেয়া যাবে।
শূন্য পদের মধ্যে সাধারণ ক্যাডার ৫৮২ জন, কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারে দুই হাজার ৯০৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারে ৭১৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে ৩৩তম বিসিএস-এ।
নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে পিএসসি’র চেয়ারম্যান বলেন, সরকার এ বছর প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা জানিয়েছে। তবে প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করতে গেলে পিএসসি’র বিদ্যমান স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করতে হবে।
বিসিএস’র প্রশ্নে অসঙ্গতি সম্পর্কে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, পিএসসি’র অধীনে বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও প্রশ্ন তৈরি করে আলাদা ‘এক্সপার্ট কমিটি’। এ কমিটিতে যুগ্ম সচিব পদ-মর্যাদার কর্মকর্তারা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থাকেন।
তবে প্রশ্নপত্রে মুদ্রণজনিত কিংবা অন্য ভুলের ব্যাপারে পিএসসি আরো সচেতন হবে।
তিনি জানান, এবার থেকে হাজিরা তালিকায় প্রার্থীদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের পাশাপাশি রঙিন ছবিও সংযুক্ত থাকবে। প্রবেশ পত্র, পাসওয়ার্ড ও আইডি নম্বর হারিয়ে গেলেও পিএসসির ওয়েবসাইট (http://www.bpsc.gov.bd) থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তা ফিরে পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ কার্যক্রম শুরুর পর ভবিষ্যতে পরীক্ষার তারিখ, সময়, আসন বিন্যাস, পরীক্ষার ফল, মৌখিক পরীক্ষার তারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য প্রার্থীরা নিজেদের মোবাইল ফোনের এসএমএম মাধ্যমেই সংগ্রহ করতে পারবেন বলে তিনি জানান। পিএসসির ওয়েবসাইট ছাড়াও সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিটকের ওয়েব ঠিকানা থেকে (http://bpsc.teletalk.com.bd) অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে।
অনলাইনে ফরম পূরণ ও ফি জমা দেয়ার বিস্তারিত নির্দেশাবলী পিএসসি ও টেলিটকের ওয়েবসাইট এবং বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ফরম পূরণে আবেদরকারীদের সমস্যা সমাধানে একটি হেল্প লাইন চালু থাকেবে বলে জানান চেয়ারম্যান। হেল্প লাইনের কমিশনের মোবাইল ফোন নম্বর- ০১৫৫৫৫৫৫১৪৯, ০১৫৫৫৫৫৫১৫০, ০১৫৫৫৫৫৫১৫১, ০১৫৫৫৫৫৫১৫২, ০১৫৫৫৫৫৫১৫৩; পিএসসির পরিচালক (প্রশাসন) ৯১১১১০৫, সিস্টেম অ্যানালিস্ট ৮১১৪৫৮২, প্রোগ্রামার ৯১৩৫৭৪৭ এবং টেলিটকের ০১৫৫৫৫৫৫১৪৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।