অনেক বড় বড় মানুষ, বিখ্যাত মানুষের স্মরণসভায় যাই, যেতেই হয়। স্মৃতিকে চারণ করে কথা শুনি, কোথাও কোথাও বলিও হয়তো। কিন্তু যুগল রায় তেমন কেউ নন, সুদূর ও শুধু শাহবাগ অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করতেন। হঠাৎ একদিন মরে গেলেন। মিলন রায় যুগল রায়ের ছোটভাই, চারুকলায় আমাদের ৩/৪ ব্যাচ সিনিয়র ছিলেন।
সেই সূত্রেই যুগল রায়কে চিনতাম। এছাড়া বহুদিন থেকেই এক মহাজাগতিক দায়িত্ব নিয়ে আমরা শাহবাগ তুলোধুনা করে ফিরি। ফলে, যুগল দা'কেও চেনা হয়ে যায়। সেই যুগল দা মারা গেলে, ভাবলাম, এই 'কেই নন' মানুষটাকে নিয়ে একটা স্মরণসভা করি। করলামও।
আমার প্রায় আড়াই শো বন্ধু সেই বিকালে ছবির হাট-বটতলায় উপস্থিত হলো। তবে বন্ধুদের উপস্থিতির উদ্দেশ্যে আমি একটা আগমনপত্র লিখেছিলাম। পত্রের কোনো কপি আমার কাছে ছিল না। কয়েকদিন আগে, আমাদের আনন্দ ( ভিডিও এডিটর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর) বলল, ওর কাছে একটা পত্র এখনো নাকি ভালো লাগাবশত, প্রেমবশত রয়েই গেছে। বললাম, দিও তো।
পত্রটা আনন্দ আমাকে ই-মেইল-এ পাঠিয়েছে। এখন, আমিও ফের ভালো লাগাবশত, প্রেমবশত ফেসবুকে আপলোড করে দিলাম সেই 'কেউ নন' মানুষটার স্মরণসভাপত্র, যেটা তখন আমি প্রথম আলো ও সমকাল পত্রিকায় যুগল রায়কে নিয়ে দুটো লেখার মধ্যেও গুজে দিয়েছিলাম... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।