হট নিউজ যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি দু'টি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র বিষয়। জাতি যখন একটা কঠিন সময় অতিক্রম করে আলোর মুখ দেখছে ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের নব্য মীরজাফর, জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ ও ঘসেটি বেগমরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যারা আজ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে তারা বা তাদের দল বিগত নির্বাচনগুলোতে একটিও আসন ত পায়নি বরং অনেকেই জামানত হারিয়েছে। সংসদ সদস্য পদ ছিল মহা স্বপ্নের বিষয়। সেই স্বপ্ন তাদের পূর্ণ হয় ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরীক দল হিসাবে।
তাদের নেই জনমত, নেই সামাজিক কোন পরিচয়। তারাই আবার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
যারা মূলত পূর্ব বাংলা আর পশ্চিম বাংলার সাথে মেলানোর নামে ভারতের সাথে মিলাতে চায় তারাই এই অর্থহীন আব্দার করে আসছে। যে দেশের শতকরা একশত জনের মধ্যে নববই জনই মুসলমান সে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের আবদার আসে কি করে ? আসলে এরাতো দেশের বিরোধিতা করছে, তাদের সকল ভূমিকাই দেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের বিরুদ্ধে। তারা যে রাষ্ট্রদ্রোহী তাদের বিচার হবে কোন্ আদালতে?
এরা দেশ নিয়ে ভাবে না, দেশের মানুষকে তিমিরে রেখে একটা স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ হাসিলে নানা পরিকল্পনা, নানান ছক তৈরী করে তাদের আখের গুছিয়ে নেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার পরে সংঘটিত হওয়া ভয়াবহ ঘটনা বিডিআর বিদ্রোহ। যার পরিণতিতে গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহার করা হলো এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসারদের।
বিডিআর বিদ্রোহ একটি সাজানো নাটক মাত্র! বিডিআর হাসপাতালের কাছেই খোঁজ পাওয়া যায় একটি গণকবর এর। সেই কবর থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৮টি লাশ। কবরটির আয়তন ৮ ফুট বাই ১০ ফুট, উচ্চতা ৭ ফুটের মতো! প্রশ্ন উঠেছে এ কবরটি ঘটনার পরপরই তৈরি করা হয়েছে, নাকি আগে থেকেই ছিল? বেঁচে যাওয়া এক সেনা কর্মকর্তার বক্তব্য, ‘‘বিডিআর জওয়ানরা এত স্বল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে এত বড় একটি কবর খনন করল সে প্রশ্নটি তার মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
’’ এর থেকেও প্রতীয়মান হয় কিনা এটা একটি সাজানো ঘটনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।