বুধবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে এক সভায় হরতাল প্রতিরোধে কমিটি গঠন, প্রচারপত্রের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ভোটারদের কাছে বিলি এবং একই বিষয়ে মন্ত্রীদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
আগামী ২৪ জানুয়ারি মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর নভেম্বরের মধ্যেই এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
বিরোধী দলের হরতাল-নৈরাজ্য প্রতিহত করতে পেশাজীবীদের যুক্ত করে ‘প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের দাবি জানান পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান খান।
দলীয় কর্মীদের ‘দুঃখ-বেদনা’ দূর করতে নেতাদের উদ্যোগ নেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর পরামর্শ দিয়ে পেশাজীবী শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাজাহান আলম সাজু বলেন, “মাদ্রাসার শিক্ষক মানেই স্বাধীনতাবিরোধী নয়। সব মসজিদের ইমামই হেফাজতে ইসলামী করেন না। বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ”
নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে পেশাজীবীদের যুক্ত করার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নূর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, “এসব কমিটি যেন কাগুজে না হয়। ”
কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের মহাসচিব মোবারক আলী লিফলেট-পোস্টারের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সব ভোটারদের কাছে প্রচারের পরামর্শ দেন।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান সরকার ‘সরকার এবং দলের মধ্যে’ ব্যবধান কমানোর অনুরোধ জানিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন প্রতিহতে পেশাজীবীদের সম্পৃক্তের দাবি জানান।
একই বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের সমালোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতা অধ্যাপক আকতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, একই ইস্যুতে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিলে জনগণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। তাই এ ধরনের বক্তব্য দেয়া যাবে না।
বিভিন্ন পেশাজীবী পরিষদের ১৬ জন নেতা তিন ঘণ্টা ধরে তাদের বক্তব্য, সুপারিশ ও পরামর্শ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে তুলে ধরেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী কমিটিতে পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচন প্রতিহতে বিরোধী দলের তৎপরতা প্রতিহত করতে পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
এই মন্ত্রীর বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, “আন্দোলন এবং নির্বাচন দুটোর জন্যই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ”
সভার সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, পেশাজীবীদের বিভিন্ন মতামত বাস্তবায়নে আমরা চেষ্টা করব। নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং তাতে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।
সংবিধান মতোই নির্বাচন হবে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, “নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা দুনিয়ার কারো নেই। ”
বিরোধী দলের হরতাল-নৈরাজ্য প্রতিহত করতে দলের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ ১৪ দলের নেতারা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।