http://shudipto.co.nr
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নবনির্বাচিত সাংসদরা আজ শপথ নিয়েছেন। যেহেতু এই সংসদের বিরোধী দল হবে অত্যন্ত দুর্বল, সুতরাং সরকারী দলের সাংসদদের দায়িত্বশীল আচরণের উপরই নির্ভর করবে সংসদের কার্যকারীতা।
জাতি অনেক দিন পরে নতুন আশায় বুক বেঁধেছে। এবারে সরকারী দলের ৮২ শতাংশ সাংসদই স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তোর - এটিও আমাদের আরেকটু আশাবাদী করে তোলে। তবে ভুলে গেলে চলবে না, বিএনপির শাসনামলেও কিন্তু অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি সংসদে সরকারী দলের প্রতিনিধিত্বের পাহসপাশি দুর্নীতিতেও শীর্ষ পর্যায়েই ছিলেন।
আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার একেবারে গুরুত্ব নেই বলব না, কিন্তু তা নৈতিকতাকে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যাওয়ার মত নয়। তবুও একজন শিক্ষিত ব্যক্তি কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য ধারণ করে যা কখনোই অশিক্ষিত কারো কাছ থেকে পাওয়ার আশা করা যায় না।
সংসদ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে একটি ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা নিয়ে অনেকদিন ধরেই কথা হচ্ছিল। সেটি করা হলে আমাদের দেশের দ্বিতীয় প্রধান দলটির নেত্রী বাদ পড়ে যেতে পারেন এমন আশঙ্কা থেকেই হয়তো এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আইনটি পাস হয় নি।
যেহেতু সংসদে বিরোধী দল হবে অত্যন্ত দুর্বল, তাই মিডিয়ার ভূমিকা হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মিডিয়াকে অবশ্যই যথাযথ এবং নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের কার্যক্রমে সাধারণ জনগণের কি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা যথাযথভাবে উপস্থাপনের দায়িত্ব মিডিয়ারই। সেই সাথে মিডিয়াকে ঢাকাকেন্দ্রীকতা ছেড়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে হবে, যাতে সারা দেশের মানুষেরই মতামতের প্রতিফলন ঘটে।
ইন্টারনেট এখনও বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে অতি দুর্লভ। এটিকে সহজপ্রাপ্য করে তুলতে হবে।
কারণ টেলিভিশন এবং পত্রিকার মত মিডিয়াগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে যা খুব সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারে ইন্টারনেট। নির্বাচনের সময় আমরা দেখেছি সারা দেশের অন্যান্য মিডিয়াগুলোর চেয়ে প্রচারণায় ইন্টারনেট খুব একটা পিছিয়ে ছিল না। বিশেষ করে প্রবাসী বাঙালীরা, যাদের অনেকেই বাসায় বাংলাদেশী চ্যানেলগুলো দেখার সুযোগ পান না, তাদের জন্য দেশের খবর জানার প্রধানতম মাধ্যম হল ইন্টারনেট।
এবার আসি ব্লগের কথায়। ইন্টারনেট খবর জানার পাশাপাশি জানানোর জন্যও এক উৎকৃষ্ট মাধ্যম তা প্রমাণ করেছে ব্লগ।
কোন ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য সেরা মাধ্যম হল ব্লগ। পেপারে একটি চিঠি পাঠানো হলে তা ছাপা হবে কি না নিশ্চয়তা নেই। রেডিও কিংবা টেলিভিশনে আপনি যখন ইচ্ছা গিয়ে নিজের কথা প্রকাশ করতে পারবেন না। কিন্তু ব্লগে কিন্তু এসব সীমাবদ্ধতা নেই (যদি না আপনি একেবারেই উগ্রপন্থী হয়ে থাকেন)। এখানে যে কেউ একটি নিক রেজিস্ট্রেশন করে নিজের কথাগুলো সবাইকে জানাতে পারেন এবং অন্যের কথাও জানতে পারেন।
পরস্পরের মতামতের মিথস্ক্রিয়া মানসিকতায় ইতিবাচক (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে) পরিবর্তন আনতে বাধ্য।
শেষকথা
শেষে শুধু এই কথাই বলব - আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছি এবং আরো সচেতন হতে হবে। দুর্নীতি ঠেকানোর জন্য সাধারণ মানুষের সচেতনতাই হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।