আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) বইমেলায় প্রথম গিয়েছিলাম মনে হয় ০৬ সালে, মেজো মামা আর ভাইয়ার সাথে। যে বই ভাল লাগত ভাইয়াকে বলতাম, ওর পছন্দ হলে কিনে দিতো।
এর পরে দু-এক বার মনে হয় যাইনি। গত দুই তইন বছর যাবত আর ভাইয়ার সাথে যাই না। বড় হয়েছিনা, তাই একা/বান্ধবীদের সাথেই যাই ।
সাধারনত শনিবার সকালে আমি মেলায় যাই। তাই মেলা শুরু হওয়ার পর প্রথম শনিবারই গেলাম।
মেলার বহু আগে থেকে একটা ফান্ড করেছিলাম মেলায় যাওয়ার জন্যে, ছোট মামার বিয়ে উপলক্ষে সেই ফান্ড আরো সমৃদ্ধশালী হয়েছে। যাইহোক প্রথম দিন অল্প কিছু টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম। দুই-চারটা বই কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সাথে নিয়ে এসেছি কি কি বই কেনা যায়। পরে আরেক শনিবার গেলাম অল্প কিছু টাকা বাকী রেখে সবটা নিয়ে। এবার পার্স সেইরকম ভারী...আহ সে কী আনন্দ।
ঐদিন এসে আর কেনার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু বাসায় এসে মনে পড়লো হামা(হাসান মাহবুব) ভাই র বইটা তো কেনার কথা মনে ছিলো না। ভাইজানের অটোগ্রাফ ওয়ালা একটা বইয়ের খায়েশ ছিলো। পরে সেটার ব্যবস্থাও হলো। আজকে মেলায় গিয়েছিলাম হামা ভাই আর শামসু নানা (শামশীর)র গতবছর বের হওয়া বইটা কেনার জন্যে।
বইটা আমি গতবছর কিনিনি। তআর পরে দেখি তখনও কিছু টাকা বাকী। আর একটু ঘুরেটুরে সেবায় ঢু মেরে একটা মাসুদ রানা আর অন্য একটা বই কিনেনিলাম। এর মাঝে হানীপুর সাথে কথা হলো। আপু বললেন উনি মেলায় আসছেন।
কিছক্ষন পর আপু আসলে উনার সাথে একটু ঘুরে বের হলাম আপু ডাকসুতে দুপুরের খাবার খাওয়ালেন। গল্প-টল্প করে চলে আসলাম বাসায়। বাসায় এসে চিন্তা করলাম সায়েন্স ফিকশন বা কিশোর উপন্যাশ কেনার জন্যে কেন যেনো আগ্রহ পাইনাই এইবার ! সব বয়সের দোষ
এবার দেখেন কি সব হালুয়া কিনলাম, আমার বড় মাথার ছোট বুদ্ধি দিয়ে যদিও আপনাদের সবার মতন এত ভাল ভাল হেভী ওয়েট ওয়ালা বই কিনতে পারিনি, তার পরেও আমি অনেক তৃপ্ত।
১।
২।
৩।
৪। আমার চরম পছন্দের বই এইগুলান
৫। হামা ভাইর কারবার দেখেন, সামুর কোলন ডি দিসে
৬। সব প্যাক কইরা রাইখা দিসি।
একটা একটা বাইর করুম আর পড়ুম
এবার দেখেন আমার পুরাতন কালেকশন
৭। প্রথমেই আমার জান-পরান তিন গোয়েন্দা সমূহ
এখন আর তেমন না পড়লেও বইগুলো খুব পছন্দের।
৮। ক্লাস থ্রী থেকে পুরষ্কার পাওয়া শুরু করি। বিভিন্ন সময়ে পুরষ্কার-উপহার এবং নিজের কেনা বইগুলো
৯।
কয়দিন আগে সেলফ টা পরিষ্কার করে মানুষ করলাম
আর একটা বই আছে, একাত্তরের কন্যা জায়া জননী। বইটা বান্ধবীর কাছে বলে ছবি তুলতে পারিনি।
একটা মজার ব্যাপার হলো অটিস্টিক শিশু বইটা এনে আম্মাকে দিয়ে বললাম পড়ো। ভাল বই একটা। একটা জায়গার মনে হয় আছে ঐধরনের বাচ্চাদের সাধারন কিছু আচরন।
আম্মা জোরে পড়াশুরু করলেন, "...এধরনের বাচ্চারা একটুতেই রেগে যায়, তারা দোকানের খাবার খেতে বেশী পছন্দ করে যেমন; আইসক্রীম, চকলেট, চিপস, বিস্কুট...." (আমাকে উদ্দেশ্য করে বলছিলো)। মনে মনে বললাম আয় হায় ভুল করলাম দেখি তোমারে বইটা দিয়া ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।