মাঝে মাঝে বৃষ্টি দেখে হাত বাড়ানোর ইচ্ছে জাগে... ভেতর ভেতর যাই পুড়ে যাই, কেউ জানেনা আমার আগে...
ভূমিকা-
ছোটগল্প লিখতে চেয়েছিলাম, লেখা শেষে দেখি একেকটা বড়গল্প হয়ে বসে আছে। প্রমাণ সাইজের বড়গল্প। যখন মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি যে বড় গল্প লিখে ফেলেছি, তখন হঠাৎ মনে হলো, আরে ধূর, এ-তো কিছুই হয় নি। আর ‘কিছুই হয় নি’ এমন কিছু নিয়েতো পাঠকের সামনে আসা যায় না। কিন্তু আমি চলে এলাম।
শুধুই চলেই এলাম না, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে চলে এলাম। পরিচিত-অপরিচিত-অর্ধপরিচিত যার সাথেই দেখা হয়, হুট করে বলে ফেলি, ‘ জানেন? আমার না একটা বই বেরুচ্ছে। গল্পের বই। ’
সমস্যা হচ্ছে ওনারা আমাকে আলোকচিত্রী হিসেবে চেনেন, গল্পকার না। সুতরাং চশমার ফ্রেমের ফাঁক দিয়ে সরু চোখে তাকান, সেই তাকানোর অর্থ, ‘তুমিতো দেখি বাপু ভালো যন্ত্রণা শুরু করেছো!’
আমি এই দৃষ্টিতে পুরাপুরি বিভ্রান্ত হয়ে যাই।
পান্ডুলিপি ছিড়ে কুটিকুটি করি। জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেই। খানিক বাদে কুড়িয়ে এনে সেই কুটিকুটি পান্ডুলিপি আবার স্কচটেপ দিয়ে জোড়া লাগাই। লাল-নীল কলমে কাটাকুটি করি। কাটাকুটি শেষ ভাবি, ‘কিছু কি হয়েছে?
আসলেইতো, কিছু কি হয়েছে?
- সাদাত হোসাইন
প্রকাশনীঃ ভাষাচিত্র [স্টল নাম্বার-৪২-৪৩, বই পাওয়া যাবে, ৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার থেকে]
প্রচ্ছদঃ সব্যসাচী হাজরা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।