সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল
পিলখানা হত্যাকান্ডের এই দিনটি আশা করি আপনাদের মনে আছে। সেদিন কি হয়েছিল, সেটি নতুন করে মনে করিয়ে দেবার প্রয়োজনও দেখছি না।
শুনেছি এ হত্যাকান্ডের বিচার চলছে। হাজার তিনের মত সাধারণ সৈনিকদের সাজাও হয়েছে। এক সময়ের শৌর্য বীর্যের প্রতিক খোলনলচা বদলে, নখ-দন্ত-বীর্যহীন ক্লীবে পরিণত করা হয়েছে সীমান্তরক্ষি বাহিনীকে।
যারা আজ সীমান্তে সামান্য ভারতীয় খাসিয়াদেরও দূর থেকে হুশ হুশ করে তাড়ানোর সাহস রাখে না।
আচ্ছা সেটাও না হয় গেলো। সমস্যাটা অন্য যায়গায়।
পিলখানা হত্যাকান্ডের পর বিভিন্ন সুত্র বিভিন্ন রকম খবর নিয়ে ব্লগে প্রচুর লেখা এসেছে। যার বেশির ভাগই বর্তমান আওয়ামি সরকারের বিপক্ষে যায়।
বাকশালিদের মত গায়ের জোরে নয়, বরং রীতিমত তথ্য উপাত্ত দিয়ে ওই লেখাগুলি বিশ্লেষন করলে স্পস্টতই প্রমানিত হয়, আসল অপরাধীরা কারা।
সেই তথ্য উপাত্তগুলি খন্ডন করে প্রতিলেখা চোখে না পড়লেও, আওয়ামি ভাঙ্গা রেকর্ড সর্বস্ব লেখা এই আজকেই অন্তত একটা চোখে পড়লো।
শুনেছি দেশের সর্বোচ্চ মেধাবিরাই নাকি বুয়েটে ভর্তি হতে পারে। আমার যে কয়টা বন্ধু বুয়েটে পড়তো, তারা সবাই ছিল সর্বোচ্চ মেধাবি। কিন্তু হায়, সেই বুয়েট থেকে পাশ করা একজন প্রবাসে থেকে এভাবে নিতান্তই মুর্খের মত আচরণ করবে, ভাবতে কস্ট হয়।
তথাকথিত চেতনার আনন্দে ড্যাং ড্যাং করে, ভারতের দালাল এইচ টি ইমামের পোষ্য জনৈক ব্লগারের ব্লগে যোগদান করে এমনই ছাগুফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল, যে আওয়ামি বিরোধী মাত্রেই ছাগু ট্যাগিং করতে তার বাধতো না।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। সেই তাকেই ছাগু অপবাদ মাথায় নিয়ে ঐ ব্লগ ত্যাগ করতে হয়েছে। ফিরে এসে সুবিধা হচ্ছিল না। এতদিন লেখালেখি করলেও পাঠকরা তার বাকশালি ভারতবান্ধব চরিত্র দেখে তাকে প্রত্যাখান করেছিল।
তাই "হারানো" গৌরব ফিরে পেতে তিনি আগে যা আরে ঠারে করতেন, এখন সেটা প্রকাশ্যে করা শুরু করলেন। মানে আওয়ামি আর ভারতের জয়গান। তার লেখা হিট হল বটে, তবে গালমন্দ খেতে খেতে তার ভাত খাবার স্বাধ মিটে যাওয়ার কথা।
তবে আকন্ঠ ক্ষুধায় যাকে পেয়ে বসে, ভারতের দালালি যার বুদ্ধিভ্রংশ করে দেয়া, তিনি ব্লগের এই "সামান্য" কথার অপমানকে গায়ে মাখবেন কেন? সেজন্যই ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের হ্যাকারদের প্রতিবাদের বিরোধীতা করে গদাম খেয়েও, আরো গদামের (নাকি হিটের আশায়?) পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে তার আওয়ামি তত্ত্ব হাজির করেছেন।
দুর্গন্ধ ঘেটে হাত নোংরা করতে চাই না।
তবে ব্লগাররা বিলক্ষণ এই বস্তুটিকে ইতিমধ্যেই চিনেছেন।
যেহেতু আমরা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বাকশালি নই, তাই কিছুটা যুক্তি খন্ডন করছি, যাতে তার সেই পোস্টে তাল মিলানো অন্যান্য বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিদের ঘটে খানিকটা নাড়া পড়ে।
তার ভাষ্যমতে, সেনাবাহিনী থেকে ডেপুটশনে আসা অফিসারদের "নির্মম" অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে, অপারেশন ডালভাত নামের ব্যাবসায় চরম দুর্নীতিতে বিতশৃদ্ধ হয়ে নাকি বিডিয়ারের সাধারণ সৈন্যরা বিদ্রোহ করে এতগুলি অফিসারকে হত্যা করেছিল।
সেনাবাহিনী কি লুতুপুতু সুশিল গড়ার কারখানা, যে অধিনস্তদের বাবা বাছা বলে তুলু তুলু করা হবে? সশস্ত্র একদল সৈনিককে কঠোর নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য অফিসারদের কঠোর হতেই হয়। শুধু বাংলাদেশ কেন? পৃথিবীর এমন কোন সেনাবাহিনী নেই, যেখানে লুতুপুতু করে কমান্ড পরিচালনা করা হয়।
যারা ভর্তি হন, তাদেরকে প্রথম থেকেই সেইরকম কঠোর নিয়ন্ত্রনে আগেই অভ্যস্থ করা হয়।
এমন কি সেনা নিয়ন্ত্রনাধীন ক্যাডেট কলেজগুলিতেও এর ব্যাতয় ঘটে না।
তাহলে কথা নেই বার্তা নেই, হুট করে সেই কঠোর নিয়ন্ত্রনের বিরুদ্ধে ক্ষেপে লাল হয়ে গিয়ে একেবারে খুন করে ফেলা? সাধারণ মানুষকে এতটা বোকা পাঠা মনে করতে পারে কেবল অন্ধরাই।
অপারেশন ডালভাতের দুর্ণীতি নিয়েও সাধারণ সৈনিকদের মাথাব্যাথা থাকার কথা না। তারা সাধারনের চেয়ে অনেক অনেক কম মুল্যে রেশন পেয়ে থাকেন।
ওই প্রকল্পে তারা ডিউটি দিয়েছিলেন মাত্র ! এজন্য তো তাদের অতিরিক্ত কোন শ্রম দিতে হয়নি। বরং সাধারণের কাছে তারা প্রশংসাই পেয়েছিলেন।
তাই দুর্ণীতির প্রসংগ তুলে খুনের বৈধতা প্রমান করতে চাওয়া বরং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপপ্রয়াশ আর আওয়ামি প্রপাগান্ডা ছাড়া আর কিছু নয়।
সারা জাতি যখন পিলখানা হত্যাকান্ডের স্মৃতিচারণে বেদনার্ত, ক্যান্টনমেন্টগুলিতে একটা শোকাবহ পরিবেশ।
ঠিক সেই দিনটি ভারতের কাপুরুষ সীমান্তরক্ষি বাহিনী বি এস এফ বিশেষ আনন্দ উল্লাসের ব্যাবস্থা করেছে।
সাধারণ দেশপ্রেমিক হিসাবে সেটিকে সরল চোখে দেখার অবকাশ নেই।
এর বিরুদ্ধে স্বাভাবিক কারণেই সহব্লগার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ভাই প্রতিবাদ করে একটি লেখা লিখেছেন।
আজ হিন্দুস্থান BSFএর উৎসবের দিনঃ তারপরেও দালালদের ভারত প্রেম চলবে!
বি এস এফ এর কর্মকান্ডে দেশপ্রেমিক কোন বাংলাদেশির সন্তস্ট থাকার তো কোন কারণই নেই।
অথচ সেই পোস্টে ঢুকে কয়েকজনের মন্তব্য দেখে আক্কেল গুড়ুম ! এরা কি বাংলাদেশি? নাকি ভারতীয় সৈন্যদের রেখে যাওয়া নষ্ট বীর্যের ফসল? নতুবা কি করে বি এস এফ এর নস্টামির প্রতিবাদকে এরা বাকা চোখে দেখে লেখককে আক্রমন করতে পারে?
এদের মধ্যে একজন নিজেকে আবার বিশিষ্ট ছাগু ফাইটার হিসাবে "দাবি" করে থাকে। অথচ ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি কোন পোস্ট আসলেই, তার অর্শ বেদনা শুরু হয়ে যায়।
কেন? ছাগু ফাইটার নামে যারা রাজাকারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সোচ্চার, তাদের তো যেকোন দেশবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সমর্থন দেয়ার কথা!
সেটা না করে, দেশের মা বোনদের নগ্ন হয়ে ভারতীয় দুতাবাসের সামনে প্রতিবাদ করার আহবান, কিংবা পিঠে বোমা বেধে ভারতে হামলা, এধরণের বাহুত্রা (বরিশালের ভাষায়) কথাবার্তা তো প্রমান করে যে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, তাদের অর্শবেদনার পরিমান বাড়িয়ে দেয়। নাকি ছাগুফোবিয়ায় তিনি এমনই আক্রান্ত যে, এখনও ভারতকে মিত্রশক্তি মনে করে অতীতেই পড়ে আছেন।
বাকি যে কয়টা ঐ পোস্টের বিরোধীতা করে প্রলাপ বকেছিল, তারা ধর্তব্যের মধ্যে নয়। সুশিক্ষার অভাবে মগজ অপুষ্টির শিকার হওয়াতে দুটি টাকা ট্যাকে গুজে দিয়ে সারাদিন তাদের দিয়ে ভাঙ্গা রেকর্ড বাজানো সম্ভব।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ শত্রু ভারত।
এটাই দিনের আলোর মত সত্যি। এই কথার দ্বিমত পোষনকারিদের বলবো, স্বাধীন বাংলাদেশে ভারতের অন্তত একটা বন্ধুত্বমুলক নিদর্শন তুলে ধরতে। পারবেন না।
তাই দ্যার্থহীন ভাবে শক্ত ভাষায় বলে দিতে চাই যে, স্বাধীন বাংলাদেশে ভিনদেশের দালালি করতে দেয়া হবে না। দালালি করতে পশ্চদদেশে লাথি খেতেই হবে।
সেটা ব্লগে হোক, কিংবা বাস্তবে। আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদ আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা এনেছেন, কিছু নোংরা জারজদের ভিনদেশের দালালি করার জন্য নয়।
আর ব্লগে ভারতের বিরুদ্ধে বললেই যাদের অর্শ রোগ চাগাড় দিয়ে উঠে, তাদের জন্য এই দাওয়াই।
চেস্টা করুন এই দাওয়াই ব্যাবহার করেই চুলকানি মেটাতে। নতুবা জাতিয় ফল দিয়ে চিকিৎসা শুরু করলে হীতে বিপরীত হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।