আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের বিনোদনের সময় কমে আসছে দিনে দিনে

একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতা, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার

চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আট ঘন্টা কাজ, আট ঘন্টা বিশ্রাম আর আট ঘন্টা বিনোদন। এটাই নিয়ম। এভাবেই সবকিছ সিডিউল ঠিক করা হয়। এই আট ঘন্টা বিনোদনের মধ্যে মানুষের ব্যাক্তিগত, পারিবারিক সব কাজ সারতে হয়। কিন্তু আস্তে আস্তে মানুষের জীবন থেকে বিনোদনের সময়টুকু কমে আসছে।

তার সাথে কমে আসছে বিশ্রামের সময়ও। আমরা যারা ব্যাস্ত নগরীতে বসবাস করি। তাদের বেলায় এই সমস্যাটি প্রকট। আমাদের জীবন ধারনের জন্য কাজ করতে হয় আট ঘন্টার অনেক বেশী (সরকারী চাকুরী বাদে)। প্রতিদিন বাড়ছে কাজের পরিধি।

কিন্তু ইনকাম বাড়ছে না। অফিসে একটা লোককে দিয়ে কিভাবে কয়েকজন লোকের কাজ করে নেয়া যায় সেটা থাকে সবসময় বসদের মাথায়। একজন ভদ্রলোক, (যিনি সিনেমার বিজ্ঞাপন করতেন রেডিওতে) তার কাছ থেকে জেনেছিলাম, উনি সকালবেলা খবরের কাগজ পড়েন টয়েলেটের কমোডে বসে। ওখানেই গিলেন সেইদিনের পুরো পেপারটা। তখন শুনে খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম।

সকালে অফিসে আসার সময় দেখি, প্রাইভেট কারে অনেক মহিলা তাদের চুল আঁচড়াচ্ছেন। কারণ, তার হাতে বাড়তি সময়টুকু নেই যে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল বাঁধবেন তারপর অফিস যাবেন। সেই কাজটা তাঁরা গাড়ীতেই সারেন। আজকাল পথেঘাটে সব জায়গায় দেখা যায়, মানুষ এয়ার ফোন দিয়ে মোবাইল ফোনের সাহায্যে এফ এম রেডিও শুনছেন অথবা মোবাইল মেমরী থেকে গান শুনছেন। কারণ তার গান শোনার জন্য বাড়তি কোন সময় নেই।

কেউ কেউ সকালে অফিসে আসার সময় গাড়ীতে বসে ল্যাপটপে তার অফিসের বাড়তি কাজটুকু সেরে নিচ্ছেন। অর্থাৎ এই যান্ত্রিক নগরীতে কোন মানুষই তার সঠিক কাজটি করার জন্য সঠিক সময় পাচ্ছে না। সবাইকে ভর করতে হচ্ছে ঐ বিনোদনের সয়টুকুতে। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা ওয়েট করেও গাড়ী পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের এইসব শহরে সবচেয়ে বেশী বাজে সময় খরচ হয় রাস্তাঘাটে, ট্র্যাফিক জ্যামে।

আর এভাবেই দিনে দিনে আমাদের বিনোদনের সময় কমে আসছে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.