আপন আলোয় উজ্জল............. বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে উন্নতির শিখরে উঠতো। সে সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই নেতাদের অদূরদর্শিতা ও বাস্তবতা বর্জনের জন্য সেনা শাসন এলো; দু-দুটো রাষ্ট্রপতি নিহত হলেন। তারপরের কাহিনী তো আমাদের জানা। দুটো রাজনীতিক দলের কা-কারখানায় বাংলাদেশ প্রায় ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে_ আমরা লজ্জায় স্বীকার করি বা না করি।
কিন্তু পশ্চিমা গণতন্ত্রও এখনো চলছে না। গনতন্ত্রের নামে গনধর্ষণ করছে সাধারন মানুষ কে। ঘটনা এমন ঘটেছে যে সমস্যা নাম দিয়ে পত্রিকার শিরোনাম হচ্ছে। সে গুলো কী? বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, যানজট, চাঁদাবাজি ইত্যাদি ....এহেন অবস্থায় আমাদের দেশের মন্ত্রীদের কথায় কথায় কথায় প্রবোধবাক্য বিতরণ, জনগণের কোনো কাজেই লাগে না। অথচ তারা এই নেতাদের ভোট দেয়, বিশ্বাস করে তরপর চরম দুর্দশায় পতিত হয়।
স্বপ্নভঙ্গ হয়। অথচ সেই লোকগুলোকেই বিশ্বাস করে, তাদের ওপর ভরসা করে জীবনযাপন করে।
ফলে জনগণ চরম হতাশায়। তাদের অস্তিত্ব রক্ষা দায় হয়ে পড়েছে। ৪০ বছরের ইতিহাসে এমন খারাপ অবস্থা হয়নি বাংলাদেশের।
এত চাঁদাবাজি ঘটে নি কখনো। এত বৃক্ষ নিধনযজ্ঞ পালিত হয়নি। এই জেলে বনদস্যুদের নিপীড়ন ভোগ করেনি। বাংলাদেশের নদী-নালা-খালবিল-পার্ক- রেলের জমি এমনভাবে লুণ্ঠিত হয়নি। সরকার কে? তা একটি প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
ফলে দেশে যে দু'একটি নির্ভীক কণ্ঠ আছে যারা দেশের কথা বলে তারা সরকারের চক্ষুশূল। তাদের ওপর কত নির্দেশ। 'টকশো' ওতে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। বাগ্স্বাধীনতা একটি প্রহসন। গণতন্ত্র একটি ধোঁকাবাজি।
এ অবস্থায় মানুষ কী করবে? কলা কলার হালি ২৪ টাকা। ১০ টাকার রিকশা ভাড়া ২০ টাকা হয়ে গেছে। অটোরিকশা ও ট্যাক্সি ধরাছোঁয়ার বাইরে। খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে মাছ, গোশত, আলু, পেঁয়াজ, বেগুন, পটল, শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে গেছে। অবশ্য মাছ-গোশতের হিসেব বলা মুশকিল।
কোন মাছ কত দরে বিক্রি হবে তা বিক্রেতা ছাড়া কেউ জানে না। ডাল খাবেন? খবরদার? ওটা তালিকা থেকে বাদ দিন।
শহরের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা বড় দুর্দশায় নিপতিত। এ শ্রেণীটি ভদ্র শ্রেণী, ভিখ করতে পারে না সবার পক্ষে ঘুষ নেয়াও সম্ভব হয় না। অথচ ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে।
ভদ্রতা রক্ষা করতে গিয়ে ঋণ করতে হয়। তাছাড়া ঈদে-বকরিঈদে তারা সন্তানদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে। কাপড় কিনে দিতে পারে না। কোরবানি দেয়া তো অসম্ভব। এর নাম কি গণতন্ত্র? এর নাম কি গণতান্ত্রিক দেশ? এর নাম কি দেশের উন্নয়ন? এর নাম কি ডিজিটাল বাংলাদেশ? এ প্রশ্ন কার কাছে করবো?
বাংলার কোটি কোটি চাষীর জীবনে কী ঘটছে তা সব সময় খবরের কাগজে বের হয় না।
এই বর্ষায় কতগুলো নদীর ভাঙনে কতগুলো পরিবার সর্বস্বান্ত হলো, কে তার হিসেব রাখে। বাড়ি-ঘর হারিয়ে তারা প্রকৃত অর্থে সর্বহারা। জমি নেই, ঘর নেই, কাজ নেই। কী করবে তারা। সরকার নীরব।
কোনো সাহায্যের খবর পত্রপত্রিকায় দেখিনি। হয়তো নেতারা বাদশাহ হারুনের মতো চুপে চুপে তাদের পকেট ভরে দিচ্ছে। যে ক্ষমতায় যাচ্ছে দেশ তার বাপের সম্পতি হয়ে যাচ্ছে। যে ভাবে পারে সে ভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করছে। এমন অসহায় মানুষ কোন দেশে আছে?
অতএব নতুন যুবক, তরুণ, যুবক ও ছাত্রদের যারা এখনো নষ্ট হয়ে যায়নি তাদের মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে।
ভয়-ভীতি, লাভ-লোকসান-প্রলোভনের ঊধর্ে্ব উঠে সমাজতন্ত্রের বজ্রকঠিন ধ্বনি তুলতে হবে। এ ছাড়া বাঁচার আর কোনো রাস্তা নেই। যে রাস্তাগুলো ছিল তা দুটি পার্টি ভয়াবহভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। সেই মরাপচা গন্ধওয়ালা গণতন্ত্রে কোনো কাজ হবে না। তা শুধু অমঙ্গলই বয়ে আনবে।
ফলে বৃহত্তর মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশের জন্য, জাতির জন্য আর একবার সমগ্র জাতিকে জেগে উঠবে হবে। তাঁদের কড়া জবাব দিতে হবে।
আমাদের যেহেতু ক্ষমতা একদিন(ভোটের দিন),তাই শিয়াল-কুকুর গুলাকে আর ভোট না দিয়ে "না' ভোট দিয়ে তাঁদের কে উচিত শিক্ষা দেই,গনতন্ত্র কি জিনিস !!!এছাড়া অন্য কোনো পথ নেই, বাঁচার ও বাঁচাবার।
এখানে যান , প্রতিবাদ জানান ....। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।