রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মন্নুজান হলের এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ করার প্রতিবাদে ওই হলের ছাত্রীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও ভাঙচুর করেছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মন্নুজান হল সূত্রে জানা গেছে, হলের এক আবাসিক ছাত্রীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি তাঁর দুই রুমমেট সমকামিতার অভিযোগ করেন। তাঁরা ওই ছাত্রীকে অন্য কক্ষে পাঠানোর আবেদন করেন প্রাধ্যক্ষের কাছে। রাতে এ ঘটনা জানাজানি হলে হলের ছাত্রীরা এই অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন।
ছাত্রীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের দাবিতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হলের ভেতরে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রীরা হলের ভেতরে ফুলের টব, জানালার কাচসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, ওই হলের প্রাধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগমসহ হলের আবাসিক শিক্ষকেরা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ছাত্রীরা হলের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে তাঁদের প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
অবরুদ্ধ শিক্ষকেরা আন্দোলনরত ছাত্রীদের এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে অবরুদ্ধ শিক্ষকেরা মুক্ত হন।
এ ব্যাপারে আন্দোলনরত ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাঁরা জানান, এটা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া আজ রোববার দুপুরে মুঠোফোনে জানান, মন্নুজান হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগমের সঙ্গে এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।