ইতিহাস, নেই অমরত্বের লোভ/ আজ রেখে যাই আজকের বিক্ষোভ... আমেরিকায় কিছুদিন আগে সাইক্লোন আইরিন হানা দিয়েছিল; যেটা ছিল ইস্ট কোস্টের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ সাইক্লোন। এর জাস্ট কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যন্ড তথা ইস্ট কোস্ট এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছিল যা নাকি গত ১০০ বছরের ইতিহাসে প্র্রথম। এসব দেখে এক আমেরিকানকে বলতে শুনেছি, সাম্প্রতিক আমেরিকায় আইন করে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়ার কারণেই নাকি ঈশ্বর শাস্তির আলামত দেখাচ্ছেন। ঈদের নামাজের সময় এখানকার ইমাম সাহেবও একই কথা বলছিলেন।
আমি জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পিএইচডি করছি।
আমাদের ডিসিপ্লিনে এ বিষয়ে অনেক কথাবার্তা হয়। ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের কারণে সমকামিতা ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না হলেও এ সংক্রান্ত আলোচনায় পড়াশুনার খাতিরে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। সেখানে সমকামিতার পক্ষে যে যুক্তিগুলো তুলে ধরা হয়েছে তা হল:
১. তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় কোন সোসাইটিতেই সমকামিতা একটা সামান্য % জনগোষ্ঠির মধ্যে দেখা যায়না। কাজেই এর জন্য মানব বংশ বিলুপ্ত হবার কোন সম্ভাবনা নেই।
২. সুস্থতা, অসুস্থতা (বিশেষ করে মানসিক) এসবের সূক্ষ্ম মাত্রা আমরাই নির্ধারণ করি।
সমকামিতাকে অসুস্থতা বলা হবে কিনা এটা যতটা না বায়োলজিকাল ইস্যু তার চেয়ে বেশি পলিসি তথা নীতিগত সিদ্ধান্তের ইস্যু। এটাকে যদি সুস্থতা ধরে নিই তাহলে তো কিছুই বলার নেই। আর অসুস্থতা ধরে নিলে তার চিকিৎসা প্রয়োজন; শাস্তি নয়।
৩. মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে কারো সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে নাক গলানো গ্রহণযোগ্য নয়; যতক্ষণ না তা অন্যের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করছে।
৪. সমকামিদের বেশ কিছু অসুখ বেশি হয় বলে দেখা গিয়েছে; যেমন এইডস।
সমকামিদের স্টিগমাটাইজ করলে মানুষ এসব রোগ পুষে রাখবে; চিকিৎসা নিতে সঙ্কুচিত হবে। এতে সমাজে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
আরো যুক্তি আছে যা এই মুহূর্তে মনে পড়ছেনা। এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে এগুলো আমার যুক্তি; বা আমি এগুলোকে সমর্থন করছি। লিখলাম আপনাদের যুক্তিগুলো জানার জন্য।
কারণ উপরের যুক্তিগুলো শুনে একজন একাডেমিক মানুষ হিসেবে একধরণের দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে গিয়েছি।
আপনাদের যুক্তিগুলো জানলে আমার কিছু লাভ হতে পারে। এটা নিয়ে সরগরম আলোচনা জমিয়ে তোলা যাবে। তাই পরিশীলিত এবং মার্জিত ভাবে আপনাদের যুক্তিগুলো (বিপক্ষে; বা পক্ষেও হতে পারে) তুলে ধরলে বাধিত হব।
ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।