আমি বাংলার...।
ইউকেবিডি ডেস্ক :: সমকামিতার বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডারদের সম-অধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের পাস করা একটি রেজুলেশনের কড়া সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল শুক্রবার যৌন চাহিদার ধরনের ওপর ভিত্তি করে কোন ভেদাভেদ থাকবে না মর্মে ঘোষনা দেয়।
পশ্চিমাদেশগুলো এই রেজুলেশনটিকে ঐতিহাসিক বলে ঘোষনা দেয় এবং মুসলিম বিশ্ব এটি প্রত্যাহার করে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি রেজুলেশনের বিপক্ষে অবস্থান নেয় পাকিস্তান, সৌদিআরব, বাহরাইন ও কাতার।
জাতিসংঘের এ বিতর্কিত রেজুলেশনটির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডাররা স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে।
রেজুলেশন টি প্রস্তাব করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর পক্ষে ভোট দেয় ২৩টি দেশ, বিপক্ষে অবস্থান নেয় ১৯ দেশ। এছাড়া তিন দেশ ভোট বর্জন করে এবং একটি ভোটগ্রহণের সময় অনুপস্থিত ছিল।
গত মার্চে জেনেভা ফোরাম থেকে সদস্যপদ হারায় লিবিয়া। তাই দেশটির ভোট দেয়ার ক্ষমতা ছিল না।
ওয়াশিংটনে দেয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, “সারা বিশ্বে শুধুমাত্র যৌন চাহিদার ভিন্নতার কারণেই অনেকে নির্যাতনে শিকার হয়, বঞ্চিত হয় আইনি অথিকার থেকে। সেক্ষেত্রে আজকের এই রেজুলেশন মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
”
যুক্তরাষ্ট্রের মতোই সমর্থন জানায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স। রাশিয়া বিপক্ষে অবস্থান নেয় এবং চীন ভোট বর্জন করে।
তিন সপ্তাহের কাউন্সিল বৈঠকের শেষ দিনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান বাহরাইন, কাতার ও সৌদিআরব রেজুলেশনের কড়া সমালোচনা করে বক্তব্য দেয় এবং সব রাষ্ট্রকেই এর বিপক্ষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানায়।
মৌরিতানিয়ার দূত শেখ আহমেদ ইদ জাহাফ বলেন, “প্রস্তাবিত রেজুলেশনের সঙ্গে মানবাধিকারের কোনো সম্পর্ক নেই। যেখানে সাধারণ (প্রাকৃতিক) মানুষের অধিকার প্রশ্নের মুখে সেখানে অপ্রাকৃতিক অধিকারের কোনো ঠাঁই নেই।
একই বক্তব্য বাংলাদেশেরও। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।