সাদামনের মানুষ আমি : প্রথমতো সবকিছু সন্দুররূপেই দেখতে চাই... মাথায় থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হেলমেট, যাতে লাগানো থাকবে বিশেষ ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার; সেই নিউরোট্রান্সমিটার পড়বে মস্তিষ্কের তরঙ্গ; যদি, আপনি মনে মনে ভাবতে থাকেন এখন সাইকেলের প্যাডেলে জোরে চাপ দিতে হবে, গতি আরেকটু বাড়াতে হবে; তাহলে আপনার চাপের অপেক্ষা না করে সাইকেল নিজেই চেষ্টা করবে তার গতি বাড়ানো হ্যাঁ, এতদিন যে ধরনের অত্যাধুনিক সাইকেল আমরা হলিউডের সায়েন্সফিকশন ছবিগুলোতে দেখেছি, এখন তেমন সাইকেল বাজারেও পাওয়া যাবে; সেই সাইকেল পড়তে পারবে মনের কথাগুলো এ মাইন্ড রিডার সাইকেল নিয়ে অনেকদিন ধরেই গবেষণা করছে টয়োটা কোম্পানি, পারলে সাইকেস এবং ডিপ লোকাল নামে আমেরিকান কোম্পানি; তারা এই বিশেষ ধরনের সাইকেলটির নাম দিয়েছে প্রিয়াস এক্স পারলে (পিএক্সপি) এই সাইকেলটি তার মালিকের মনের কথা বুঝে সেই অনুযায়ী চলবে; এজন্য ওই সাইকেলের ওপরে স্থাপিত ট্রান্সমিটারে আগে থেকেই সেট করে দেয়া হবে সাইকেল চালকের মস্তিষ্কে সাধারণ তরঙ্গ মাত্রা এবং তার স্বাভাবিক গতি; যদি চালক তার গতি স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়িয়ে দেয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝে ফেলবে সাইকেল এবং বেশিক্ষণ চালককে প্যাডেলে জোর দিতে হবে না; বাকি পথটুকু দ্রুত শেষ করার দায়িত্ব নেবে সাইকেল খোদ কিন্তু এ সাইকেলের এখন একটাই সমস্যা দেখা দিচ্ছে; যদি চালকের মাথায় সাইকেল চালানোর সময় অন্য কোনো চিন্তা, যেমন- বাজারে গিয়ে আগে কোন জিনিসটা কিনতে হবে, পাওনাদারের কাছ থেকে কিভাবে টাকা আদায় করবো- এসব থাকলে সাইকেলটি দ্বিধায় পড়ে যাবে; তখন সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে থেমে যাবে সে এ বাধা অতিক্রম করতে এখন রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে প্রযুক্তিবিদরা; তাদের হাতে সময় আছে মাত্র একটি বছর; কারণ টয়োটা এবং পারলে সাইকেল ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে এই সাইকেল বাজারে ছাড়া হবে ২০১২ সালের শেষের দিকে অথবা ২০১৩ সালে; তাই এর আগেই সব ধরনের প্রতিকূলতার সমাধান করে সাইকেলকে তার মালিকের মনের কথা বোঝার উপযোগী করে তুলবেন প্রযুক্তিবিদরা
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।