দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম
কানাডার মন্থর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কর্মসংস্থান বাজারকে নতুন বছরের শুরুতেই অপ্রত্যাশিতভাবে স্থবির অবস্থায় ফেলে দিয়েছে, যা ব্যাংক অব কানাডাকে আরও দীর্ঘসময়ের জন্য উদ্দীপনামূলক নীতিপন্থা অব্যাহত রাখার জন্য বাধ্য করছে। স্ট্যাটিসটিকস কানাডা শুক্রবার জানায়, নিমার্ণ এবং পেশাজীবী খাতে চাকরি থেকে ছাঁটাই সংযোজন শিল্পে পরিমিত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির অর্জনকেও কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে। জানুয়ারি মাসে দেশের অর্থনীতি সব মিলিয়ে মাত্র দুই হাজার ৩০০ চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছে। কর্মসংস্থান অঙ্গনের এই মলিন আবহ বেকারত্বের হারকে সাত দশমিক পাঁচ থেকে এক ধাপ ওপরে উঠিয়ে সাত দশমিক ছয়ে দাঁড় করিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপ বিশ্লেষণে ২৩ হাজার ১০০ নতুন কর্মসংস্থানের ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছিল এবং বেকারত্বের হার ডিসেম্বরের সাত দশমিক পাঁচেই অপরিবর্তিত থাকবে বলে বলা হয়েছিল।
কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন, যা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত। রয়েল ব্যাংক অব কানাডার (আরবিসি) সহকারী প্রধান অর্থনীতিবিদ পল ফারলে বলেন, অবশ্যই অর্থবছরের চতুর্থ সিকি জুড়ে মন্দা কর্মসংস্থান পরিস্থিতির পর নতুন বছরের প্রথম সিকিতে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করা হয়েছিল, কিন্তু এর কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, এক বছর আগে অর্থনৈতিক মন্দার সময় কানাডায় হারানো সব চাকরিযোগ্য পদ পুনরুদ্ধার হয়েছে। তবে বৃহত্তম বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগী প্রতিবেশী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজারে কয়েক বছর ধরে কম প্রবৃদ্ধি না হলে কানাডার পরিস্থিতি আরও ভালো হতো। ২০১২ সালের শুরু থেকেই এই অবস্থা পরিবর্তনের আশা করা হয়েছিল।
২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কানাডা যোগ করেছে এক লাখ ২৯ হাজার চাকরি, শতাংশের হিসাবে বৃদ্ধি ঘটেছে শূন্য দশমিক সাত। আর মোট কর্মঘণ্টা বেড়েছে এক দশমিক চার শতাংশ। সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন শেষে বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদের মত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৩ সাল পর্যন্ত সুদের হার কম রাখার নীতিপন্থাই অব্যাহত রাখবে।
স্ট্যাটিসটিকস কানাডা বলছে, ২০১২ সালের প্রথম মাস অর্থাৎ জানুয়ারিতে পূর্ণকালীন চাকরি কমেছে তিন হাজার ৬০০। পক্ষান্তরে খণ্ডকালীন চাকরির সংখ্যা বেড়েছে পাঁচ হাজার ৯০০।
আর স্ব-নিয়োজিত কাজের সংখ্যা ৩৭ হাজার কমেছে। ব্যাংক অব কানাডার দৃষ্টিতে স্থায়ী চাকরির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির চাপে এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ঘণ্টাপ্রতি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই দশমিক দুই শতাংশ, যা ডিসেম্বরের দুই দশমিক চার শতাংশের চেয়ে নিচে।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।