প্রবাসী
কানাডার জাতীয় নির্বাচন
আগামী ২রা মে ৪১ তম জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে কানাডা তে। এ দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল গুলো হচ্ছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী- স্টিফেন হারপারের কন্সারভেটিভ দল, মাইকেল ইগনাটিএফের নেত্রিত্বাধীন লিবারেল দল , জ্যাক লেটনের নিউ ডেমক্রাট দল, জীল ডুসেপ এর “ব্লক কুইবেকোয়াস” দল । সদ্য লুপ্ত পার্লিয়ামেন্টে দলগুলোর অবস্থান ছিল, হারপার- ১৪৩, ইগনাটিয়েফ-৭৭, ডুসেপ- ৪৭, জ্যাক লেটন-৩৬ এদের মধ্যে জ্যাক লেটন এবং ইগনাটীয়েফ টরন্টোর, হারপার ক্যালগারি শহরের এবং ডুসেফ কুইবকের।
আর মাত্র অল্প কয়েক দিন বাকি। এখানে যে নির্বাচন হচ্ছে সেটা আপাত দৃস্টিতে চোখে পড়ে না।
কোথাও কোন মিছিল নেই, প্রকাশ্য কোন জনসভা নেই। নেই পোস্টারের ছড়াছড়ি। রাস্তা ঘাট বা যানবাহনে নির্বাচনের আলোচনাও শোনা যায় না। যা চোখে পড়ে তা হল বিলবোর্ড। তাও সংখ্যায় হাতে গোনা।
মাইকের গগনবিদারী চিৎকার নেই। ভোট চাইতে আসছে না কেউ। শুধুমাত্র প্রার্থীদের রঙ্গীন হ্যান্ডবিল দিয়ে গিয়েছে দরজার ফাক দিয়ে গলিয়ে। সাধারনভাবে নির্বাচন নিয়ে উতসাহ নেই। কারন সম্ভবতঃ রাজনীতির প্রভাব সামাজিক জীবনে খুব একটা পড়ে না।
আর যে দল ক্ষমতায় আসুক না কেন খুব আমুল পরিবর্তন হবে না।
সবাইকে কাজ করতে হবে, কাজ করে খেতে হবে ,এটাই বড়। কাজ ফাকি দিয়ে নির্বাচন? অসম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নেই। তাই মাথাব্যাথাও কম সাধারনের মধ্যে।
আমাদের নির্বাচনি এলাকা হল “ইয়র্ক- বীচ” এলাকা। এই এলাকাতে বাংলাদেশীদের সংখ্যা অনেক। এ এলাকার পার্লামেন্ট সদস্য লিবারেল পার্টীর “ মারিয়া মিনা” আগে একবার মন্ত্রী ও ছিলেন। শেতাংগ এই মহিলা বাঙ্গালিদের অনুকরনে শাড়ী পরে এলেন মিটিং এ , এখানকার কমুনিটি হলে। বাংলাদেশীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
আশা করা যাচ্ছে এবার ও জিতবেন।
কয়েক বছর ধরেই রাজনীতিতে টানাপড়েন চলছে এ দেশে। গত ৫ বছরে এটি ৪র্থ নির্বাচন। কোন দল ই একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায় নি এবং সরকারের মেয়াদ পুর্ন হয় নি। এবার ও যে খুব বেশী পরিবর্তন হবে তা কেউ আশা করছেন না।
প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা আবার ও একটা ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।