আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কানাডার নির্বাচন ও গনতন্ত্রের ত্রুটি

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

গতকাল হয়ে গেল কানাডার সাধারন নির্বাচন। মুলত প্রাচীন লিবারেল পার্টির নতুন নেতা স্টেফেন ডিওনকে বেকায়দায় ফেলে একটা সংখ্যাগুরু সরকার তৈরীর আশায় বর্তমান কনজারভেটিভ সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার নির্বাচন করে। কিন্তু কয়েকটা সিট বাড়ানো ছাড়া তাদের আশা পুরন হয়নি। কিন্তু যথেষ্ঠ ক্ষতি হয়েছে লিবারেলের - ওরা ১০৩ থেকে নেমে এসেছে ৭৬ এ। বামপন্থী এনডিপি তাদের দলের ৮টা সিট বাড়াতে পেড়েছে।

নতুন পার্টি গ্রীন অনেক আলোড়ন তোলার পরও কোন সীট পেতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল দেখে একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায় - কনজারভেটিভরা ৩০৬ সিটের মধ্যে ১৪৩ টা সিট পেয়ে সরকার ঘটন করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের সমর্থন পাচ্ছে না। এমনকি উপস্থিত মোট ভোটারের ৫৯.১% ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কনজারভেটিবকে দেয় ৩৭.৬৩% ভোট । যার অর্থ দাঁড়ায় কানাডার মোট ভোটারের ২২.২৩% ভোটারের সমর্থন নিয়ে দেশ চালাবে এই সরকার। এই সরকারকে কি গনতান্ত্রিক সরকার বলা যাবে? এরা যে সিদ্ধান্ত নেবে তার সাথে একমত হচ্ছে না একশত জনের মধ্যে ৭৭ জন।

কিন্তু তাতে কি আসে যায়। সরকারকে টিকিয়ে রাখবে বিরোধী দল। কারন একটা নির্বঅচন করতে গিয়ে দলগুলো মিলিয়ন ডলারের ঋণ নেয় ব্যাংক থেকে। এর কিছু অংশ চাঁদা আর কিছু অংশ সরকারের অনুদান ( ভোট প্রতি ২.৫০ ডলার) থেকে শোধ করে। অন্যদিকে রক্ষনশীল বন্ধু যেহেতু কর্পোরেশনগুলো - নির্বাচনের অর্থ যোগাড় করা তাদের জন্যে কোন ব্যাপারই না।

সরকারও বিষয়টা বুঝে প্রতিটি নীতি নির্ধারনী বিলের সাথে আস্থার বিষয়টা জুড়ে দিলেই বিরোধী দলগুলো অধিকাংশ সদস্য অনুপস্থিত থেকে সরকারের রাস্তা পরিষ্কার করে দেব। কারন সরকার পতনের দায় নিয়ে বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে ট্যাক্সের ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচের দোষে দুষ্ট হতেও চাইবে না। আর গনতন্ত্রের নামে পুঁজির এই তামাশা দেখেই যেতে আমাদের মতো আম জনতার - এর থেকে মুক্তির আপাতত কোন পথ দেখছি না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।