নাম তার ‘বেগমপাড়া’। না, সরকারি নথিপত্রে এই নামের কোনো জায়গা খুজেঁ পাওয়া যাবে না। কিন্তু জায়গাটাকে এই নামেই সবাই চেনে। আরো একটা নাম আছে জায়গাটার,সেটা হচ্ছে –‘কলোনী অব ওয়াইভস’। ভিন্ন ভাষাভাষীরা ‘কলোনী অব ওয়াইভস’ নামে চিনলেও পাকিস্তানী, ভারতীয়, বাংলাদেশি তথা দক্ষিণ এশীয়দের কাছে ‘বেগমপাড়া’ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে জায়গাটা।
বৃহত্তর টরন্টোর মিসিসাওগায় ‘স্কয়ার ওয়ান’ ওবং ‘শেরিডান মলের’ কাছে বেশ কয়েকটি হাইরাইজ কণ্ডোমিনিয়াম। এই গুলোরই নাম হয়েছে ‘বেগমপাড়া’। এখানে কি কোনো বেগম থাকেন? হ্যাঁ, বেগমই থাকেন তবে তারা এই যুগের বেগম, ভিন্নরকমের বেগম। এইসব কণ্ডোমিনিয়ামে কেবল মহিলারাই থাকেন, বলা ভালো স্ত্রীরাই থাকেন। থাকে তাদের সন্তান সন্তুতিরাও।
থাকে না কেবল স্বামীরা। ‘বেগমপাড়া’র সিংহভাগ বাসিন্দা পাকিস্তানী এবং ভারতীয়। বাংলাদেশি কয়েকটি পরিবারও রয়েছে সেখানে।
‘বেগমপাড়ার’ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এইখানে বসবাসরত মহিলাদের স্বামীরা থাকেন মধ্যপ্রাচ্যে। এদের অনেকেই কানাডায় এসেছিলেন অভিবাসী হয়ে।
কিন্তু পছন্দমতো চাকরি জুটাতে না পেরে তারা বসতি গড়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে। সেখানে উচ্চবেতনে চাকরি নিয়ে সেখানেই থাকছেন। স্ত্রীরা থাকছেন এই বেগমপাড়ায় সন্তানদের নিয়ে। আবার অনেকে আছেন,যারা অনেক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাকরী করছেন। তাদের ছেলেমেয়েদের জন্ম হয়েছে ওইসবদেশেই।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নিয়ম অনুযায়ী,ওইসব দেশে জন্মগ্রহনকারী বিদেশীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় না। আবার গ্রেড ১২ এর পরে এইসব সন্তানরা ভালো উচ্চ শিক্ষার সুযোগও পায় না। ফলে তারা কানাডার অভিবাসন নিয়ে স্ত্রী সন্তানদের রেখে নিজেরা ফিরে গেছেন মধ্যপ্রাচ্যে।
‘বেগমপাড়া’র বাসিন্দা মহিলাদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত এবং নিজদেশে উচ্চপদে চাকরি করতেন। কিন্তু এখানে তাদের অনেকেই কোনো ধরনের কাজ করেন না।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে পাঠানো পেট্টোডলারে আয়েসী জীবন যাপন করেন তারা। বছরের পর বছর তারা এভাবেই কাটিয়ে দিচ্ছেন। অবশ্য ‘বাংলাদেশি বেগম’দের (যাদের স্বামী মধ্যপ্রাচ্যবাসী) অধিকাংশই থাকেন ভিন্নজায়গায়। কণ্ডো বা বাড়ী কিনে সন্তানদের নিয়ে তারা থাকেন বেগমপাড়ার বাইরে।
সূত্র: নতুনদেশ ডটকম
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।