ধসের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই শ্রমিক।
কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আহসানুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বরুন এলাকায় এই দুর্ঘটনায় নিহতদের সবার বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলায়।
তারা হলেন- হাকিম উদ্দিনের ছেলে আজগর আলী (৩০), ইউনুছ আলীর ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৩৫) ও তৈয়ব আলীর ছেলে সিদ্দিক ওরফে হলু মিয়া (৪৫)।
নিহত অপরজনের নাম ও পরিচয় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানাতে পারেনি পুলিশ।
ওসি আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরুন বাজারের পাশের হেওলা খালের ওপর কালভার্টের সংস্কার কাজ করছিলেন ছয়জন শ্রমিক।
হঠাৎ শ্রমিকরাসহ ওই কালভার্টের মাঝখানের কিছু অংশ ধসে নিচে পড়ে। এতে ধ্বংস্তুপের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ওই চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ”
গুরুতর আহত হন মোফাজ্জল হোসেন ও শাহজাহান। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, কালভার্টটির মাঝখানের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হানিফ এন্টারপ্রাইজকে সংস্কার কাজের দায়িত্ব দেয় স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগ (এলজিআরডি)।
ঘটনার পরই কাপাসিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পেরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আলী ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে কাপাসিয়ার ইউএনও আলাউদ্দিন আলীর নেতৃত্বে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্য হলেন, উপজেলা প্রকৌশলী সাবের আলী।
কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।