উইন্ড চাইম আজও হাওয়া এলে আমার বারান্দায় বেজে ওঠে-- কী মধুর ধ্বনি।
এই উপহারের সন্ধান পেতে সে কত আকাশ পাতাল ভেবেছিলো কখনো বলেনি। আমি শুধু অনুমান করি-- এই হয়।
আমিইতো তাকে বলেছিলাম, সবই প্রাকৃতিক, আর কিছুই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না। বরং প্রতিশ্রুতির প্রতিটি শব্দ একদিন দেখো গ্রাস করে ফেলবে আমাদের, কিন্তু এ কথা তাকে কখনোই বলি নি, যেমন সাপ ব্যাঙকে... ধীর ও অনিবার্যভাবে, কু-উ কু-উ শব্দ নির্জনতায় কোন কাজেই আসবে না।
আমি যেনো দেখতে পাই সে আজও উপহারের দোকান গুলোতে ঢু মারছে আর ভাবছে কোন উপহার সবচেয়ে ভাল হবে, আর আমার মাঝে তার অনুপস্থিতিকে ভরিয়ে তুলবে-- মাধুর্যে! কিন্তু আমার কান তার শব্দ শুনেই কেবল তৃপ্ত হতো, যেমন আমার চোখ তার মুখ দেখেই কেবল খুশি হতো-- সে কি আজ আর তা বিশ্বাস করে না!
কী মধুর ধ্বনি-- আজও বেজে ওঠে হাওয়া এলে, আর আমার ঘর ভরে ওঠে। আর হীরের মতো স্বচ্ছ ঝিলমিল অশ্রুফোঁটাগুলো আমি ঝরিয়ে দেই, জানি সে তা দেখতে পাবে না, আর দেখতে পেলেও তাকে আর তা ছুঁয়ে যাবে না। ভাবি, হীরের তুচ্ছতা এভাবেই হয়ে থাকে, হয়। অথচ তার যতো দাবী সব তার নিজেরই পূরণের ক্ষমতা ছিলো, শুধু হৃদয়ের দাবীটুকু ছাড়া-- আর সেইটুকুই তো ছিলাম এই আমি। অথচ একফোঁটা অশ্রুর অধিক মূল্য যেনো কেউ পায়নি এ পৃথিবীতে।
শুধু ভাবি সে মধুর ধ্বনির ব্যবস্থা করে গেছে... মৃত্যু এসে আমাকে যখন ছুঁয়ে যাবে-- একটা উইন্ডচাইম হয়তো বেজে যাবে আমার শিয়রে... আর সুতো থেকে তখনো নাচতে থাকবে হীরের শিশিরগুলো বাতাস ও জোসনা লেগে। এই মাধুর্য ধ্বনির জন্যই যেনো কৃতজ্ঞ রয়ে গেছি আমি আজও।
ভাবি, সবই প্রাকৃতিক, শুধু তার ফিরে না-আসার প্রতিশ্রুতিটুকু ছাড়া।
২৮.০১.২০১২
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।