যা কিছু সত্য তা বিশ্বাস করি। বুক আগলে রাখি। ঈদ উপলক্ষে এটিএন নিউজের নিউজ এক্সটা-তে এসেছিলেন অনন্ত জলিল। উপস্থাপনায় ছিলেন মুন্নি সাহা নামের একজন। ওই অনুষ্ঠানে মুন্নি সাহা মাথা মোটার মত কিছু প্রশ্ন করেছিল তার কিছু শেয়ার করলাম।
আপনার সকল ছবি তো বিগ বাজেটের। আচ্ছা আপনি এত্ত টাকা কোথায় পেলেন?
আপনি কি তানভীর মাহমুদ কে চেনেন ? তার মতো কি আমরা আপনাকে পত্র পত্রিকায় দেখতে পাব ?
আপনি আপনার সকল ছবি তে বর্ষা কে নাইকা হেসেবে নেন কেন ? অন্য নাইকা রা সুযোগ পায় না কেন ?
আপনার ব্যবসা কি ? আপনি ব্যবসা কার কাছে শিখেছেন ?
আরও অনেক প্রশ্ন যা মনে আসছে না এই মূহুর্তে। এমন ভাবে প্রশ্ন গুলো করা হচ্ছিল যেন অনন্ত জলিলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। অনন্ত জলিল প্রতিটা প্রশ্নের সুন্দর গোছানো উত্তর দিচ্ছিলেন। মুন্নি সাহার মত তৃতীয় শ্রেণীর একজন উপস্থাপিকা যিনি পুরো অনুষ্ঠানের অনেকটা জুড়ে নিজেই কথা বলেছেন সে কিনা অনন্ত জলিলের মতো একজন মানুষের সাক্ষাতকারে এই সমস্ত প্রশ্ন করে মানুষে বেকাদায় ফেলে মজা পান, তাদের কাছ থেকে আসলে কিছু পাবার আশা করে কি হবে।
আমরা নিজের ভুল স্বীকার না করে পরের ভুল ধরার জন্য মহা উৎসাহী হই। নিজে পড়ে গেলাম তো পাটা বাড়িয়ে দিই যাতে আরকেউ সামনে যেতে না পারে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য আমি খুবই লজ্জা পাচ্ছি অনন্ত জলিলের কাছে।
এই অনন্ত জলিল রা-ই আসলে পথ দেখায়। গত কদিনে আমি বাংলা সিনেমার গান ডাউনলোড করছি, কারন আমি তার ছবি দেখে অনুপ্রানিত।
মনে আশা জাগছে বাংলা ছবি মানুষ দেখবে , হলে যাবে। আবার সোনালী যুগ ফিরে আসবে।
অবশেষে বলব, অনন্ত জলিল আপনি কারো কোন কটুক্তিতে কান দেবেন না, ক্ষমা করে দিবেন এই ভেবে যে, আমরা এখনো শিখছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।