আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

**পদ্মা সেতুর দুর্নীতির গোমর ফাঁক**

am not what I am যে কারনে পদ্মাসেতু নির্মানে হাসিনা বিকল্প দাতা সংস্থা খুঁজছেন। গতকাল দুদক ঘোষণা করেছে, পদ্মাসেতু নিয়ে আবুল হোসেনের দুর্নীতির কোনো সন্ধান পায়নি! তাহলে কে বা কারা কিভাবে দুর্নীতি করেছে, সে কথাটি শুনুন। ২২ হাজার কোটি টাকার পদ্মাসেতুর কাজে প্রদানের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি হয়েছে। আর এ দুর্নীতির সাথে সরাসরি জড়িত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে। আর আবুল মন্ত্রী তাকিয়ে তাকিয়ে বোকার মত দেখছে, কিভাবে এত বড় অভিযোগ শেখ হাসিনা গিলছেন।

আবুল মন্ত্রীর তার প্রতিষ্ঠান SHACOকে ব্যবহার করে টেন্ডার প্রকৃয়ায় খবরদারী করে দাও মারতে চেয়েছিলো। কিন্তু শেখ পরিবারের কাছে তার প্রচেষ্টা মার খায়। অথচ অভিযোগের তীর আবুলের দিকেই। কিন্তু যেহেতু আবুল নিজে পয়সা পায়নি, তাই আবুলকে দোষের উপর রেখেই এ যাত্রা পার করতে চায় হাসিনা। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনকে পদ্মাসেতুর তদারকি পরামর্শকের কাজ দেয়ার জন্য ৩৫ মিলিয়ন ডলারের অর্ধেক অর্থাৎ সাড়ে ১৭ মিলিয়ন ডলার ঘুষের বিনিময়ে রফা করেন শেখ হাসিনার মেয়ের জামাই খন্দকার মাসরুর হোসেন।

শ্বাশুড়ি আম্মা হাসিনার কাছ থেকে এ কাজটি বাগিয়ে নেন জামাই। বিশ্বব্যাংকের সম্মতি ব্যতিরেকেই বাংলাদেশ ব্যাংক এসএনসি-লাভালিনের অনুকুলে ৩৫ মিলিয়ন ডলার ছাড় করে ২০১০ সালে। টাকা পেয়েই ‘এসএনসি-লাভালিন’ মাশরুরের কানাডাস্থ ব্যাংক একাউন্টে সাড়ে ১৭ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করে। অস্বাভাবিক এ লেনদেনের খবর টের পেয়ে কানাডা পুলিশ ও বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের টনক নড়ে। এরা তদন্ত শুরু করে এবং এসএনসি-লাভালিনের লেনদেন সংক্রান্ত সকল নথিপত্র জব্দ করে।

প্রাথমিক প্রমান পেয়ে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুত ১২০ কোটি ডলারের ঋণ স্থগিত করে অর্থমন্ত্রী আবুল মালকে জানিয়ে দেয়। খন্দকার মাশরুর-হাসিনার এই বিরাট দুর্নীতির তথ্য গোপন করার প্রয়োজনে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনকে ’বলির পাঠা’ বানানো হয়েছে। যত দুর্নাম সব যাচ্ছে আবুলের ওপর দিয়ে। অথচ আবুল যেহেতু ঘুষের ভাগ পায়নি তাই তার নামে দুদুকের তদন্ত করা হলো, যাতে আবিস্কার করা হয় আবুলের ফার্ম সাকো থেকে কোথাও কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। এটা জাতিকে খাওয়ানো খুব সহজ হবে।

(আরে গাধার দল, চিঠি দিয়ে কেউ কখনো ঘুষ চায় নাকি?) অন্যদিকে, দুর্নীতির এই খবর কানাডা-আমেরিকার উর্ধতন মহলে জানাজানি হয়েছে। এটাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য হাসিনার পুত্র জয় ৩৫ মিলিয়ন ডলারে ভাড়া করেছে আমেরিকার খুব শক্তিশালী এক লবিষ্ট কোম্পানীকে। হয়ত বিশ্বব্যাংকের সাথে কোনো একটা রফা হয়ে যেতে পারে…No fund..no claim ভিত্তিতে, অর্থাৎ বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক থেকে আর ঋণ চাইবেও না, আর বিশ্বব্যাংকও দুর্নীতির ঘটনাটি নিয়ে আর ঘাটাঘাটি করবে না। সে কারনেই হাসিনার সরকার উঠেপড়ে লেগেছে বিশ্বব্যাংক বাদ দিয়ে অন্য কোনো মাধ্যম থেকে টাকা আনার জন্য। আবার ফান্ড আবার নতুন কমিশন।

আর এই কঠিন কাজটি দায়িত্ব নিয়েছে নতুন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে কমিশনবাজির দুর্নাম থেকে হাসিনা ও তার জামাইকে বাঁচাতে গিয়ে এদেশে যে আর পদ্মা সেতু হচ্ছে না, তা পরিস্কার — ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.