রাজনীতি ছাড়ার সুর শোনা গেল বহুল আলোচিত মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কণ্ঠে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের সংবাদ সম্মেলনের দিন বৃহস্পতিবারই মাদারীপুরে এক অনুষ্ঠানে এই নিয়ে সমালোচনার মুখে থাকা আবুল হোসেন এলাকাবাসীকে নতুন জনপ্রতিনিধি খুঁজে নিতে বললেন।
সংসদের ওই আসন থেকে তিনি এই নিয়ে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। হাসিনার গত সরকারে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর এবার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি এবং বেহাল মহাসড়ক নিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়তে হয় আওয়ামী লীগের এই নেতাকে।
বৃহস্পতিবার সকালেই দুর্নীতি দমন কমিশন জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দিতে আবুল হোসেনের অর্থ নেওয়ার অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। এক সপ্তাহ আগে তিনি এক সাক্ষাৎকারেও বলেছিলেন, তদন্তেই তার নির্দোষিতা প্রমাণিত হবে।
আবুল হোসেন এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেন, “আমাকে আপনারা চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে উন্নয়নের সুযোগ করে দিয়েছেন, এই জন্য আমি কৃতজ্ঞ। প্রিয় এলাকাবাসী, আমি আশা করি, এখন এলাকায় অনেক সুশিক্ষিত, যোগ্য নেতা তৈরি হয়েছে। তাদের ভেতর থেকে নতুন নেতা আপনারা খুঁজে পাবেন।
নতুনের নেতৃত্বে নতুন নতুন উন্নয়ন কাজের প্রয়াস সৃষ্টি হবে। ”
জরুরি অবস্থার সময় মানসিক পীড়ণের মধ্যে থাকার কথা তুলে ধরে বক্তব্যের এক পর্যায়ে কেঁদেও ফেলেন এই মন্ত্রী। “ওয়ান ইলেভেনের সময় যে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তাতে যে আবার আপনাদের মাঝে সুস্থ ভাবে ফিরে আসব সেটা ভাবতে পারিনি,” বলেন তিনি।
যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে সমালোচিত আবুল হোসেন দাবি করেন, তার তিন বছরে তিনি যে কাজ করেছেন তা অন্য কোনো মন্ত্রী ১০ বছরেও করতে পারবে না। আবুল হোসেনের কণ্ঠে বিদায়ের সুর
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।