আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে কারণে আবুলের পদত্যাগ চাই!!

আমরা শুধু আপন মানুষ খুঁজি, আপন মানুষদের খুঁজতে হয় না, তারা পাশেই থাকে !! বর্তমান, ১,দেশের রাস্তাঘাটের এই রকম দুরবস্থা ১৯৭৪ সালের বন্যার পরে আর হয় নাই ২,একজন মন্ত্রী হিসাবে উনি মন্ত্রনালয়ে সময় ব্যয় না করে তদবির আর ব্যবসা নিয়া ব্যস্ত থাকেন ৩,অর্থ মন্ত্রনালয়ের থেকে উনি টাকা ছাড় করাতে না পেরে মন্ত্রীসভায় এই নিয়া কোন কথা বলেননি ৪,চায়নাকে সকল কাজ পাইয়ে দেয়ার ওনার অভিপ্রায় দেখে জাইকা পদ্মাসেতুর সাহায্য প্রায় বন্ধ করতে চেয়েছিল পরে প্রধানমন্ত্রী জাপান গিয়া চুক্তি করে আসেন কিন্তু যোগাযোগমন্ত্রীকে নিয়া জাননি। ৫,পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সহ কমিটি হয়েছে সেখানে যোগাযোগ মন্ত্রী নাই। ৬,সড়ক বিভাগের জেলা প্রকৌশলীদের বদলী বানিজ্য করেন আবুল হোসেনের ভাগ্নে শাখায়াত। ( এই শাখায়াত এখন না হলেও ৫০ কোটি টকার মালিক) সে সাকো ইন্টরনেশনালের কর্মচারী ছিল। এরা মন্ত্রনালয়ের গাড়ী নিয়া বিভিন্ন জেলায় যায় কাজ নিয়া বিক্রয় করে এমনকি পদ্মা সেতুর পাথর এবং বালু সাপ্লাইয়ের কাজের জন্য শাখায়াত অনেকের থেকে টাকা নিয়েছে।

৭,মন্ত্রীর ভাগ্নে বাবু সওজের কোটি কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেয় প্রতিনিয়ত। এই অশিক্ষিত ছেলে ২০০৮ সালেও ভবঘুরে ছিল। বর্তমানে ৫০ হাজার টাকায় বাসা ভাড়ায় থাকে নোয়া গাড়ী চালায়। ৮,তোফায়েল আহম্মেদ সড়ক ব্যবস্থা নিয়া সংসদে কয়েকমাসে আগে আলোচনা করলে সে কটুক্তি করে। বর্তমানে প্রমান হয়েছে তোফায়েল ঠিকই।

৯,মাদারীপুর এবং কালকিনিতে আবুল হোসেনের নিজের কোন শক্তি নাই তাই সে শাজাহান খানের উপড় ভর করার জন্য শাজহান খানের কথা মত অবৈধভাবে লাইসেন্সে দিয়েছে। এই একটি পয়েন্ট একজন মন্ত্রীর পদত্যাগের জন্য যথেষ্ট। ১০,হাসপাতে চিকিৎসাধীন তারেক মাসুদ এবং মিশুক মনিরের সহযোগি আহতদের সেন্টমেন্টে লাগে সেই রকম মন্তব্য। ১১,উনি আড়াই বছর ধরে সাংসদ এই আড়াই বছরে ওনার সম্বর্ধনা নিতে শুধু একবার নির্বাচনি এলাকায় যান। গত বি এন পি সরকারের ৫বছরে একবারের জন্য উনি নির্বাচনি এলাকায় যাননি।

নির্বাচন কালীন ছাড়া গত ২০ বছরে নির্বাচনের সময় ছাড়া উনি ৫/৬ বারের বেশী এলাকায় যাননি। ১২,এলাকার সংসদ হিসাবে ওনাকে জনগনের দরকার বিভিন্ন কাজে। কিন্তু গরীব লোকজন নিজেদের পকেটের পয়সা খরচ করে ঢাকায় এসে ওনার দেখা না পেয়ে চলে যান। অতীত ইতিহাস ১। ১৯৭৪ সালে টিসিবির ৭৭ লাখ টাকা চুরি করে জেল খাটেন।

২,জিয়ার সামরিক শাসনামলে মুক্তি পেয়ে লাইন করে ব্যবসা শুরু করেন। ৩। এরশাদ শাসনামলে উনি রওশন এরশাদকে মা ডাকেন। রওশন যে জামদানী পরতেন আবুল তা টাঙ্গাইল থেকে অর্ডার করে বানিয়ে দিতেন। ৪,১৯৮৯ সালে টাকায় এরশাদ কাপ ভারত-পাকিস্থান ক্রিকেট আয়োজন করেন এবং ৩০ লাখ টকা অনুদান দেন।

৫,কালকিনি কলেজ ওনার নামে নেয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহিদ দিতে চান নি। কিন্তু উনি শেখ শহিদকে টেক্কা দিয়া রওশনের মাধ্যমে কলেজের পার্মিশন করান। মাত্র ১০ লাখ টাকা দিয়ে কলেজ কিনে নেন নিজের নামে। এরপর সাকো ডেভলোপমেন্ট নামক একটি এনজিও করে বিদেশ থেকে টকা এনে প্রধান বিল্ডিং করান। বাদবাকী বিল্ডিং এর কাজ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এলজিডি প্রতিমন্ত্রী থাকাবস্থায় রাস্তার কাজের টাকা দিয়ে বড় বড় বিল্ডিং বানান।

৬,কালকিনি পৌর মার্কেট টেন্ডারের কাজ পান কালকিনির জামাল সরদার। সেই কাজ থেকে আবুলের ভাগ্নে শাখায়াত৩০ লাখ টাকা নেন ১৯৯৬ সালে। বিনিময়ে সেই মার্কেটের পাইলিং এর কাজ অর্ধেকও জামাল কে করতে হয়নি। ৭,মন্ত্রী হওয়ার পরে তার আগের অভ্যাস মাগীবাজির জন্য প্রায়শ সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড যান। একজন মন্ত্রী হয়েও উনি লাল পার্সপোর্ট ব্যবহার না করে সবুজ পার্সপোট ব্যবহার করতেন যা আইনত দন্ডনীয়।

উনি মন্ত্রি সভা থেকে বহিস্কার হন। ৮,পিডিবির দূর্নীতে ওনার বিরাট প্রভাব। জাইকার সাহয্যে হরিপু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৪০০ কোটি টাকার কাজ আবুলের চাইনিজ কোম্পানী সেকেন্ড লোয়েস্ট হয়। যারা সর্বনিন্ম দর দেয় তাদের বিভিন্নভাবে পিডিবির উর্ধতনেরা আবুলের পয়সা খেয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা লাগিয়ে দেয়। এর পরে এম পি লিটন চৌধুরীর ভাই যে লোকাল এজেন্ট ছিল সর্বনিন্ম দরদাতা কোম্পানীর তাকে কোটি কোটি টাকা অফার করে বাগাতে না পেরে জটিলতা বড়িয়ে তোলে।

এর ফলে জাইকা এক পর্যায়ে প্রজেক্টে সাহায্য বন্ধ করে। সেখান থেকেই জাইকার চোখে আবুল একটা বিষ। ৯, ১/১১ পরে আবুল চাইনিজ অফিসিয়ালের বাসায় পালান। তার নিজের নামের কলেজে ব্যবহার করা ত্রানের টিন আর্মিরা খুলে ফেলে। তার বড় ভাইয়ের বাসায়ও ত্রানের টিন পাওয়া যায়।

আবুলকে ও তার ভাই সহ কয়েক জনকে আসামী করার জন্য থানায় মামলা লেখা শুরু হয়। কিন্তু আবুলের নিয়মিত মাসহারা প্রাপ্ত্য ওসি আবুলের সাথে যোগাযোগ করে আর্মি মেজরকে ৭ লাখ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে। ১০,শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে উনি আওয়ামীলীগ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ১/১১ এর কুশিলবদের প্রশাংসা করে চিঠি লিখেন। ১১,শেখ রেহানার স্বামীর ক্লাসমেট হওয়ায় রেহানা এবং পরিবারের লন্ডন থেকে আসা যাওয়ার খরচসহ সবকিছু উনি বহন করেন তাই তাকে মন্ত্রী করে রেহান। এটা আবুলের ভাষ্য।

১২,সরকার গঠনের পরে আবুল হোসেনের বিরুদ্বে শেখ হাসিনাকে তার অনেক কাজিন প্রশ্ন করে এই টাঊটকে কেন মন্ত্রী করা হল। হাসিনার উত্তর ছিল রেহাঙ্কে জিজ্ঞাস করেন। ১৩,আবুল হোসেনের সম্পত্তির ভূল তথ্য দিলে ১/১১ সরকার তদন্ত করে অধিক সম্পত্তি পায়। মন্ত্রী হয়ে দূর্নীতি বুর‍্যুর এক উপপরিচালকে টাকা দিয়ে সেই ফাইল গায়েব করা হয়। ১৪, ১৯৯৮ সালে আবুল হোসেনের দস্তখাতকৃত একটি চিঠি বাংলাবাজার প্রত্রিকা ছাপায়।

সেখানে দেখা যায় আবুলের কোম্পানীর প্যাডে লেখা ফ্যাক্সে আবুল হোসেন প্রস্তাব করে তাদের টেন্ডারের টাকা ১০০ কোটি এক্সটেনশন করে দিবে বিনিময়ে আবুল হোসেনকে প্রফিটের ৫০% দিতে হবে। আবুল হোসেন কে শেখ হাসিনা এত অপছন্দ করেন তারপরও তাকে রাখেন এর কারণ প্রধানত ১,রেহানা ২,নতুনদের নিয়া মন্ত্রীসভাগঠিত হওয়ায় শেখ হাসিনার ইগো সমস্যা আছে সিনিয়রদের সাথে। এখন যে কোন মন্ত্রীকে বাদ দেয়া মানে হাসিনার এদের কাছে মনস্তাত্তিকভাবে কোনঠাসা হওয়া। এটা একান্তই আমার নিজের চিন্তা-ভাবনা। এই আবুলদের মন্ত্রীসভা এমন কি এমপি নমিনেশন দেয়া নির্বাচনি এলাকার মানুষের সাথে প্রতারনা।

তার নির্বাচনি এলাকার সাধারন মানুষের কাছে আবুলের কোন আবেদন কখনও নাই শুধু নৌকা প্রতিক তাকে বার বার পাশ করিয়ে আনে। একটি কলাগাছ দিলেও এরকমই হত। information from 69 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.