না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ] ২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮:২৯ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭
প্রিয় মৃন্ময়ী,
ভাষার মাস শুরু হয়েছে গতকাল। তোমার কাছে গতকালই আসতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু সম্ভব হয়নি, কারণ, ইমরান এসেছিল রাত্রে। ওর থিসিস শেষ করতে করতে অনেক সময় লেগে যায়। তারপর আর তোমার কাছে আসা হয়নি। ভাষার মাসে বাংলা একাডেমি চত্বরে বইমেলার আয়োজন করা হয়। পুরো মাসব্যাপি বইমেলা চলে।
প্রতিবছরই ২৮দিন চলে বইমেলা। তবে এবার চলবে একদিন বেশি। কেননা, এবছর লিপইয়ার (অধিবর্ষ)। বইমেলায় যাইনি এখনো। দেখি কাল-পরশু যেতে পারি।
২.
লিখতে বসেছিলাম সাড়ে ছ'টার দিকে। কিন্তু হঠাৎ করে মুশফিক আরিফ ভাইর মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, বরগুনায় কাউন্সিলরবৃন্দ প্রেস কনফারেন্স করেছে। তারা একযোগে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। ১০ জন উপস্থিত ছিল। কোন দুজন ছিল না, তা অবশ্য জানি না।
আমি এরপরই জাফর কাকার কাছে ফোন দিলাম। তিনি ফোন রিসিভ করলেন। কিন্তু কথা বললেন না। কিন্তু কে যেন কথা বলছিল। পরে বুঝলাম বর্তমান পৌর মেয়র শাহদাৎ কাকা কথা বলছেন।
তিনিও পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। সকল দায়ভার আব্বুর মাথায় ফেলেছেন। তার মতে, এগুলো আব্বুর ষড়যন্ত্র। হাস্যকর কথাবার্তা। অথচ আব্বুর কাছেই কাউন্সিলররা এসেছেন উপায়ান্তর না পেয়ে।
যাই হোক, দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়!
৩.
চারদিক অন্ধকার। ভালো লাগছেনা কিছুই। মানসিক চাপ অনুভব করছি প্রচন্ডভাবে। চেষ্টা করছি চাপটিকে এড়িয়ে যেতে। কিন্তু চাইলেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
গতকাল রাত্রে আব্বু বেশ কিছু কথা শোনালো। ইমরানও সামনে ছিল তখন। সত্যি কথা বলতে আব্বু নিজেও প্রচন্ড মানসিক কষ্টে আছেন। এদিকে আম্মুও মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। শারীরিক কষ্টতো আছেই।
আগামি ১১ ফেব্রুয়ারি এলএল.এম. প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হবে। আমার পরীক্ষা যদিও ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি একটানা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বার কাউন্সিল পরীক্ষার তারিখ দিয়েছে ৩০ মার্চ। ২৯ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ।
অথচ আমার কোনো প্রস্তুতি নেই।
আমি এমন কেন?
৪.
গতকাল মোহনার সাথে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকে ফেরার পথে কলাভবনের সামনে ১০টার দিকে পিয়াকে দেখলাম ওর বান্ধবী মাঞ্জুর সাথে সিড়ির উপর বসে গল্প করছে। পিয়া হয়তো আমাকে লক্ষ্য করেনি। অন্তত চোখাচোখি হয়নি। মোহনাকে দেখালাম। মোহনাও দেখলো।
মোহনার সাথে মাঞ্জুর চোখাচোখি হয়েছে কিন্তু পিয়ার সাথে হয়নি।
এদিকে আজকে মনির আর আমি রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকে ফেরার পথে সাড়ে দশটার কিংবা এগারোটার দিকে সনমকে দেখলাম। কলাভবনের মূল গেটে সনম রিকশা থেকে নামতেই চোখে চোখ পড়ল। আমি মুহূর্তেই চোখ ঘুরিয়ে নিলাম। মনির অবশ্য তাকিয়ে ছিল।
মনির বলল, সনম নাকি রিকশা থেকে নেমে আবার তাকিয়েছিল। কিন্তু আমি সামনে তাকানো ছিলাম।
গতকাল ইমরান আমাকে জানালো যে, সনম নাকি গত বছর নভেম্বরের দিকে ওকে বলেছে যে, ডিসেম্বর মাসে সনমের সাথে সেতুর এনগেজমেন্ট হবে পারিবারিকভাবে। আমাকে এতদিন ইমরান জানায়নি, কারণ ঘটনাটি শুনে আমার মন খারাপ হবে!!
সনমের সাথে এরপর আর ইমরানের দেখা হয়নি। তাই আর সে জানেনা যে, সনমের সাথে সেতুর এনগেজমেন্ট হয়েছে কি-না।
ইমরানের ধারণা, সনম সেতুকে বিয়ে করে মারাত্মক ভুল করবে। একটা সময় সনম তার ভুল বুঝতে পারবে। কিন্তু তখন সনমের কিছু করার থাকবে না। কপালের উপর দোষ চাপিয়ে ব্যাপারটি মেনে নেয়ার চেষ্টা করবে।
আমারো একই ধারণা।
সনম সাফার করবে। তবে আমি মনে প্রাণে চাই এমনটা না হোক। সনম সুখী হোক, এটাই আমার প্রত্যাশা। তবে পিয়া খুব ভালো থাকবে--- এটা জানি। সে জীবনে সুখীও হবে।
৫.
আরেকটি মেয়ের ব্যাপারে কিছু লেখার ছিল। কিন্তু এখন লিখতে মন চাচ্ছে না। শুধু এটুকু লিখে রাখি, মেয়েটি আমাকে বেশ পছন্দ করে। আমাকে তার জীবনসঙ্গী করতে চায়। কিন্তু আমি কিছুই করতে পারছি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।