আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায়রে বাম!!!!!!!!!!আদর্শ ছেড়ে বিলাসী জীবনে প্রচন্ড!!! নেপালে মাওবাদী আন্দোলনে ১০ বছরে ১৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

আদর্শ ছেড়ে বিলাসী জীবনে প্রচন্ড কৃষক পরিবারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। সরকারি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে পেশাজীবন শুরু। অতি সাধারণ বা সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত। পরবর্তীকালে গ্রামের দরিদ্র মানুষের জীবনপ্রণালি তার মনে খুব পীড়া দেয়। ফলে কমিউনিস্ট পার্টির সমাজবাদী দর্শনে দীক্ষা লাভ করেন।

শুরু করেন রাজতন্ত্র উচ্ছেদের আন্দোলন। এ আন্দোলনে ১০ বছরে ১৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। তবে শেষ পর্যন্ত আন্দোলন সফল হয়। এ কথাগুলো যার প্রসঙ্গে বলা, তিনি হলেন নেপালের শীর্ষ মাওবাদী রাজনীতিক পুষ্প কমল দহল, যিনি 'প্রচন্ড' নামে পরিচিত। সম্প্রতি ত্যাগের আদর্শের রাজনীতি থেকে বিলাসী জীবনযাপনে আকৃষ্ট হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

তাই প্রচণ্ড এখন বিতর্কের শীর্ষে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও এএফপির। অভিযোগ উঠেছে, প্রচণ্ড তার সাবেক বাসভবন ছেড়ে একটি বিলাসবহুল বাড়িতে উঠেছেন। রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রাণকেন্দ্র অভিজাত লাজপাত এলাকার বিলাসবহুল এ বাড়িতে রয়েছে স্বতন্ত্র বাসভবন, অফিস, সুইমিংপুল ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট। এ ছাড়া রয়েছে দশটি গাড়ি এক সঙ্গে রাখার 'পার্কিং' সুবিধা।

প্রচন্ডর ছেলে প্রকাশ ফেসবুকে বলেছেন, নিরাপত্তার কারণে তার বাবা নতুন এ বাড়িতে উঠেছেন। আগেরটি ছিল ভাড়া বাড়ি। পারিবারিক সূত্রে বলা হয়, প্রচন্ড ৬০ হাজার রুপি মাসিক ভাড়ায় বাড়িটি নিয়েছেন। তার ভ্রাতুষ্পুত্র সমির দাহাল বলেছেন, পাঁচ বছরের একটি চুক্তি হয়েছে, ভাড়া এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে 'নাগরিক' পত্রিকা লিখেছে বাড়িটির মাসিক ভাড়া ১ লাখ ৩ হাজার রুপি।

সাপ্তাহিক সাংহু দাবি করেছে, প্রচন্ড এ বাড়িটি ১০ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কিনেছেন। এ দাম এলাকায় জমি ও বাড়ির বাজারমূল্যের চেয়ে কম। এ বাড়ির মালিক ছিলেন নাওয়াল সিংঘানিয়া আগরওয়াল, যিনি জমিটি ২০১১ সালের ২৯ জুলাই শিশু আরিয়ালের কাছে হস্তান্তর করেন। এমন নানা ধোঁয়াশা খবর মিলছে বাড়িটি ঘিরে। আর এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরে।

নেপালের ইউনিফায়েড কমিউনিস্ট পার্টির (এম) ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যা কিরন বলেন, প্রচন্ড স্বচ্ছতার প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাতে পারেননি। রাজনৈতিক বিশ্লেষক খানাল বলেছেন, প্রচন্ড মাওবাদী আদর্শ ছেড়ে বুর্জেয়ার পথে হাঁটছেন। আরাম-আয়েশ, বিলাস-ব্যসন, দামি খাবার প্রভৃতির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। ২০০৮ সালে নেপালের রাজতন্ত্র পতনের পর স্বল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচন্ড। বর্তমানে তিনি ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান এবং কাঠমাণ্ডুর একটি আসন থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য।

Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.