আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দূর্যোধন কথন-০৪

বিনা যুদ্ধে নাহি দিব ছাড়,সূচাগ্র মেদিনীর অধিকার.... । '' আসিতে এত সময় তো লাগিবার কথা না'' - চাপা স্বরে গরগর করিলো দূর্যোধন। পাশ হইতে বালা নাড়িতে নাড়িতে নিজের অস্তিত্ব জানান দিলো দুঃশহালা,''আবার জিগায় !'' এরুপ অসংস্কৃত বাক্য শুনিয়া দূর্যোধন বিস্মিত হইলো,কিসব আন্তর্জালিক চটি লেখকদের মতো ভাষা ! দুঃশহালাও দেখি চটি লেখকদের মতো চোদনা হইয়া গিয়াছে ! রোস ! সময়মতো আন্তর্জালিক চটি লেখকদিগের পাশাপাশি দুঃশহালাকেও উত্তমরুপে সংস্কৃত শিখাইতে হইবে। সদর দরজায় ঘা পড়িতেই দূর্যোধন চমকিত হইয়া উঠিলো,দুঃশহালা গিয়া দরজা খুলিয়া দিতে হৈ হৈ করিয়া গোটাকয়েক পাইক-বরকন্দাজ আসিয়া হল্লা জুড়িয়া দিলো। 'মহারাজ,সমুদয় বিপদ !! দাড়িপুত্র যুধিষ্ঠিরের সাথে দ্রৌপদী শকটে করিয়া বনবাসে লংড্রাইভে যাইতেছে!!'' হাপাঁইতে হাপাইতে বলিলো এক পাইক।

বেচারী,ভাবিলো দূর্যোধন। এই বয়সেও জনে জনে তুষ্ট করিয়া চলিতে হয়! দূর্যোধন বলিলো,''কাহিনী কি বে ? '' পাইক উত্তর দিলো, ''অভিমন্যু নাকি নির্দোষ,তাহার নির্দোষিতা প্রমানের উদ্দেশ্যে আজ লংড্রাইভ শেষে দ্রৌপদী তাহার বস্ত্র স্বেচ্ছায় বিসর্জন দিবে বলিতেছে ....অতঃপর হসিনিপুরে ফিরিয়া আসিয়া দূর্যোধনকে সবস্ত্রে উৎখাত করিবে ''। দূর্যোধন হাসি চাপড়াইতে পারিলোনা,ফট করিয়া বলিলো,'য্যায়সা মাতা,ত্যায়সা পোতা ..... ইহা কোনো বিচলিত হইবার মতো সংবাদ হইলো?'' আরেক পাইক উসখুস করিয়া বলিলো,''মহারাজ,রাজা ভরতের সেনারা খাল কাটিয়া শকট চালাইতেছে...ইয়া বড় বড় ....'' কথাটা শেষ হইবার পূর্বেই দূর্যোধন খিঁচিয়া উঠিলো। ''রে নাটকির পুত্র,খাল কাটিয়া কুম্ভীর তো আনে নাই ! আর বড় বড় খালি শকট-ই দেখিস,দেবী শনি লিওনের পদক খানি কত বড় বড় ,তাহা বুঝিবার মুরোদ তোর হয় নাই । ''- স্মিত হাসিয়া বলিলো দূর্যোধন।

দুঃশাসন পাশে দাড়াইয়া দাড়াইয়া তামুক টানিতেছিলো। গলাটা কিঞ্চিত ভারী কইরা বলিলো,''ভ্রাতঃ,চটি লেখকগুলা দ্রোপদীর পক্ষাবলম্বন করিয়াছে বোধ করি। সেইদিন রসময়ের চটি পড়িতে গিয়া দেখি চারদলীয় রমনের গুনগান করিয়া ভাসাইয়া দিয়াছে । '' দূর্যোধনের রাগ হইলো,তাহার মহারমনকে এইরুপে অপমান করিলো ?-''বলিস কি ! '' দুঃশাসন পরিধানের পিরানখানা একটু উচু করিয়া ধরিয়া বলিলো,''আবার জিগায় ! দূর্যোধন নাকি রমন ও রমনী শাসন ও শোষনে অপটু-এই বলিয়া দিস্তার পর দিস্তা চটি লিখিয়া অপ্সরাদিগের বাটীর জালে ছড়াইয়া দিতেছে !!'' দুঃশাসন ভালই চটি পড়িতেছে,তাহার অসংস্কৃত ভাষাচয়ন শুনিয়া দূর্যোধন বুঝিয়া নিলো। এরই মাঝে একজন পাইক দূর্যোধনের দিকে একখানা ডিজিটাল স্লেটপত্র আগায়া দিলো।

উৎসুক হইয়া দূর্যোধন দেখিলো,নগ্ন কোনো এক নারীকে আচ্ছাসে ঘা লাগাইতেছে কয়েকজন ভরতসেনা। দূর্যোধন ঐ পাইক কে চক্ষু টিপিয়া জিজ্ঞাসিলো,''আহা,গ্যাংব্যাং এর অপূর্ব প্রদর্শনী ! নারীখানা কে ?কত মেগাবাইট ?'' পাইক বিমর্ষ বদনে বলিলো,''উহা আমাদের দিপিকামীনির প্রদর্শনী ,মহারাজ '' গাঁক করিয়া উঠিলো দূর্যোধন,দুঃশহালার হাত হইতে বালা খুলিয়া পড়িয়া গেলো ,দুঃশাসন তামুক খাইতে গিয়া বিষম খাইলো ! দিপিকামিনীকে নগ্ন করিয়া গ্যাংব্যাং ! ইহা তো আন্তর্জাতিক নর্তকী নগ্নকরন নীতিমালার বিরোধী কাজ হইয়াছে!ভরত ব্যাটা তলে তলে এত বড় ছেনাল হইয়াছে,আগে টের পায় নাই সে ! ভুরু কুচকাইয়া মুখভার করিয়া দূর্যোধন বসিয়া রইলো। দুঃশাসন দোনোমোনা করিয়া জিজ্ঞাসিলো,''ভ্রাতঃ,খুব চিন্তিত ? '' দূর্যোধন হুংকার দিয়া উঠিলো,'' ভরত ব্যাটা দিপিকামীনিকে কি ব্যাং করিলো না কি করিলো,তাহা নিয়া দূর্যোধন চিন্তিত নহে!! '' ! দুঃশহালা ফুট কাটিলো,''তবে কি লইয়া চিন্তিত,রাজন? '' দূর্যোধন বিরাসবদনে বলিলো,'' শকুনিমাতুল যে 'শনি লিওন-সুখের চাবি' পদক আনিতে ত্রিপুরা গেলো,এখনো কেন যে পদক লইয়া ফিরিলো না....ভরতের সেনারা কি তবে ...! '' ___________________________________________________ একইসাথে দূর্যোধন ব্লগে প্রকাশিত। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।