দেশের প্রচলিত আইন-কানুন মানা হচ্ছে না, এমন যুক্তি দেখিয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশ সম্প্রতি ফেসবুক ও গুগলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে ঠিক সে সময় কোনো দেশের আইন লঙ্ঘন করলে সেই বার্তা সে দেশে সেন্সর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুইটার।
বৃহস্পতিবার টুইটার তাদের ব্লগে ঘোষণা দিয়েছে, বিশেষ কোনো দেশের আইন লঙ্ঘন করলে সেই বার্তা সেই দেশেই সেন্সর করা হবে। অর্থাৎ কোনো বে-আইনী বার্তা (টুইট) লিখলে তা সে দেশের টুইটারের পর্দায় দেখা যাবে না, দেখা যাবে বিশ্বের অন্য দেশে।
যেমন নাৎসিদের প্রশংসা করে কোনো বার্তা লিখলে তা জার্মানি বা ফ্রান্সের টুইটার পর্দায় দেখা যাবে না। টুইটারের ব্যবহারকারীদের এই ফিল্টার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে বলে ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
কিছু দেশে সরকারের চাপে টুইটারের সেবা বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় টুইটার বাধ্য হয়ে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
টুইটারের ব্লগে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা এমন সব দেশে পা রাখব, যেখানে মত প্রকাশের অধিকারের সংজ্ঞা আলাদা।
তবে টুইটারের মুখপাত্র এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে সম্মত হননি।
গত বছর আরব বিশ্বে পরিবর্তনের হাওয়ার পেছনে টুইটারের অবদানকে বড় করে দেখা হয়। সে সময় এই টুইটার জানিয়েছিল, কোনো অবস্থায় টুইট-বার্তায় হাত দেওয়া হবে না, যাতে ব্যবহারকারীরা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে।
এক বছরের মাথায় সেই অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছে টুইটার।
গোটা বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে বর্তমানে পায় ১০ কোটি ব্যবহারকারী সক্রিয় রয়েছে।
জার্মান বাংলা অনলাইন ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সোশ্যাল মিডিয়া ঘেঁটে প্রয়োজনীয় গোপন তথ্য ছেঁকে নেওয়ার উপায় খুঁজছে। গোপনে নয়, বেশ খোলামেলাভাবেই এই উদ্দেশ্যর কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। সরকারী স্তরে ব্যবসা ত্বরান্বিত করা যায়, এমন একটি ওয়েবসাইটে ওপেন সোর্স সোশ্যাল মিডিয়া অ্যালার্ট টুলর খোঁজ করছে এফবিআই।
ইন্টারনেটের মুক্ত দুনিয়ায় চীনসহ অনেক রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার চেষ্টা চালিয়ে থাকে। ভারত সরকার সরাসরি সেন্সরশিপের বদলে ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগেই এমন সব কনটেন্ট দূরে রাখার আহ্বান জানিয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি নিয়ে চরম বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে।
ইন্টারনেটের ভারচুয়াল জগতে যদিও কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। কর্তৃপক্ষের কোনো বাধা না থাকলে বিশ্বের এক প্রান্তে বসেই তার নাগাল পাওয়া যায়।
এত কিছুর পর এবার টুইটার তার পরিষেবার আংশিক নিয়ন্ত্রণ চালু করছে। আর এমন সব উদ্যোগের ফলে আগামী দিনে টুইটার, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর চরিত্র পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
© বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।