ভিন্ন কিছু। মহৎ কিছু
টুইটলেটার
আপনি যদি ব্যস্ততার জন্য টুইটারে নিয়মিত ঢুকতে না পারেন, তাহলে টুইটলেটার আপনার জন্যই। টুইটলেটার টুইটারে আপনার অধিকাংশ কার্যক্রমকেই স্বয়ংক্রিয় করে দেবে। অর্থাৎ, আপনি আগে থেকেই টুইটলেটারকে জানিয়ে রাখতে পারবেন কী করতে হবে। টুইটলেটার আপনার হয়ে সেসব কাজ করে দেবে।
টুইটলেটার যেসব সুবিধাগুলো দিয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো শিডিউল টুইট। এর মাধ্যমে আপনি একটি টুইট লিখে তা ভবিষ্যতে অর্থাৎ কবে এবং কখন প্রকাশিত হবে তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এর ফলে, আপনি যদি যথাসময়ে টুইটারে ঢুকতে না পারেন অথবা ভুলেই যান, টুইটলেটার আপনার হয়ে কাজটি করে দেবে।
এছাড়াও টুইটলেটারের মাধ্যমে যখনই কেউ আপনাকে ফলো করতে শুরু করবেন, আপনি তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফলো করতে পারবেন। নিজে বারবার ফলো করা শুরু করতে হবে না।
পাশাপাশি নতুন ফলোয়ারদের স্বাগতম জানিয়ে ডাইরেক্ট মেসেজ (ডিএম) স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঠানোর ব্যবস্থাও রয়েছে টুইটলেটারের। শুধু তাই নয়, কেউ যদি আপনাকে ফলো করা বন্ধ করে দেয়, টুইটলেটারের মাধ্যমে আপনিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে ফলো করা বন্ধ করতে পারবেন।
তবে সেবাটি ব্যবহার করতে আপনার টুইটার একাউন্টের প্রবেশাধিকার দিতে হবে টুইটলেটারকে। বিস্তারিত জানতে এবং সেবাটি উপভোগ করতে ভিজিট করুন টুইটলেটার : http://www.tweetlater.com ।
স্পন্সর্ড টুইটস
প্রচুর সংখ্যক হিউম্যান ফলোয়ার পেলে টুইটার থেকে দু’চার পয়সা আয় করাও সম্ভব।
অনেকেই টুইটার থেকে প্রতিমাসে কিছু পরিমাণ টাকা আয় করে নিচ্ছেন। এর জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে তৃতীয়পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন।
স্পন্সর্ড টুইটস তেমনই একটি অ্যাপ্লিকেশন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার টুইটার একাউন্টের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি দিতে পারেন। এরপর স্পন্সর্ড টুইটস আপনার একাউন্ট তাদের ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখবে।
বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার একাউন্ট ও এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন। যদি তাদের পছন্দ হয়, তাহলে আপনি তাদের কাছ থেকে অফার পাবেন। অফার গ্রহণ করলে আপনার একাউন্ট থেকে তাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে এবং বিনিময়ে আপনি টাকা পাবেন।
উল্লেখ্য, টাকা দেয়ার স্কিম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কেউ কেউ আপনাকে প্রকাশ করার জন্যই টাকা দেবে।
কেউ আবার প্রতি কিকের বিনিময়ে টাকা দিয়ে থাকে। তবে স্পন্সর্ড টুইটসের সুবিধা হলো এই যে, এটি আপনাকে একটি ফ্যাট রেট নির্ধারণের সুযোগ দেবে যার ফলে আপনি বিজ্ঞাপন প্রকাশ হলেই টাকা পাবেন। তবে কয়েক হাজার ফলোয়ার না থাকলে এই রেট এক ডলারের বেশি রাখা ঠিক নয়।
সেবাটি ব্যবহার করতে আপনার টুইটার একাউন্টের প্রবেশাধিকার দিতে হবে স্পন্সর্ড টুইটসকে। এছাড়াও প্রতিবার লগইন করার সময় টুইটারের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডই ব্যবহার করতে হবে।
ঠিকানা: http://www.sponsoredtweets.com ।
ফার্স্ট ফলোয়ার
কয়েকশ’ বা কয়েক হাজারেরও বেশি ফলোয়ার পেলে আপনার হয়তো জানতে ইচ্ছে হতে পারে টুইটারে আপনাকে সর্বপ্রথম কে ফলো করতে শুরু করেছিলেন। ফার্স্ট ফলোয়ার আপনার হয়ে সেই কাজটি করে দেবে। ফার্স্ট ফলোয়ারের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার টুইটার ইউজারনেম লিখে এন্টার প্রেস করলেই আপনি দেখতে পাবেন আপনার প্রথম ফলোয়ারের নাম।
উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিতে আপনি যে কোনো টুইটার একাউন্টের প্রথম ফলোয়ার কে তা জানতে পারবেন।
ফার্স্ট ফলোয়ার ওয়েবসাইটের ঠিকানাঃ http://www.firstfollower.com
আনফলো অল
টুইটার ব্যবহারের সময় আপনি হয়তো লক্ষ্য করবেন যে, অনেক ফলোয়ারই বট। অর্থাৎ, কোনো মানুষ নয়, বরং কম্পিউটারাইজড একাউন্ট যেখান থেকে সবসময় বিভিন্ন সাইটের লিংক আপডেট করা হয়। এভাবে হয়তো একসময় আপনার ফলোয়ারদের সিংহভাগই এসব বট হতে পারে। তখন আপনি হয়তো আলাদাভাবে প্রতিটি একাউন্টকে আনফলো (অনুসরণ বন্ধ করা) করতে পারবেন না।
সেই মুহুর্তেই কাজে আসবে আনফলো অল।
সবগুলো বট আপনার একাউন্ট থেকে মুছে ফেলতে অথবা অন্য কোনো কারণে ‘শুরু থেকে শুরু করতে’ আপনি সবাইকে ফলো করা বন্ধ করতে পারেন। এর জন্য আনফলো অল সাইটে গিয়ে আপনার টুইটার ব্যবহারকারী নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে আনফলো অল বাটনে কিক করুন।
তবে কাজটি করার আগে সতর্ক থাকুন। কেননা, একবার সবাইকে আনফলো করলে তা পুনরায় ফলো করা যাবে না। আনফলো অল সাইটের ঠিকানাঃ http://www.unfollowall.com ।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক টুইটার তৃতীয়পক্ষ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার টুইটার ব্যবহারে নতুন অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। তবে, বিশ্বস্ত নয় এমন কোনো অ্যাপ্লিকেশনকে আপনার একাউন্টে প্রবেশাধিকার দেয়া থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় আপনার একাউন্ট থেকে আজেবাজে স্ট্যাটাস আপডেট করে বসতে পারে সেসব অ্যাপ্লিকেশন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।