Eternal silence cries out for justice... Forgiveness is not for sale... Nor is the will to forget" আমি সবচেয়ে বেশি বিব্রত হই আমাকে কেউ যদি বলে, প্লিজ একটা গান গাও না!
কলেজে থাকাকালীন সময়ে একবার আমাকে চিপায় পড়ে একটা গান গাইতে হয়েছিল। আমি আমার মতো করেই গেয়েছিলাম। ঐ সময় আমার কাছের লোকগুলো সান্ত্বণা দিতে বলেছিল, না ভালোই হয়েছে! আরেকদল চুপ ছিল। আর কিছু লোক ভ্যাক করে হেসে উঠে বলেছিল, আল্লাহ এর কণ্ঠ এরকম!
এরপর আমি ঐ গানটা রেকর্ড করে শুনে রীতিমত আঁতকে উঠেছিলাম! উহ কি বিচ্ছিরি!
ছোটবেলায় ভালো ভালো ক্যাসেটগুলো নষ্ট করে ফেলতাম গান, কবিতা আর বকাবকানি রেকর্ড করে। তখন অবশ্য কণ্ঠস্বর শুনতে অতটা খারাপ লাগতো না।
একটা ফ্রেন্ড আমাকে খুব পামপট্টি দিয়ে শুধু গান গাইতে বলতো। তার পামে না, আমি একদিন এমনিই একটা গান গেয়ে শুনিয়েছিলাম তাকে। সেটা শুনে তার মন্তব্য ছিল, সত্যিই এতো খারাপ গান আমি জীবনে শুনিনি! তুমি যদি আরেকটু গাইতে আমি সত্যিই হেসে ফেলতাম! হেহেহে! কি কণ্ঠস্বর তোমার! হাহাহা! (এরপর হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবার ভঙ্গি করেছিলো! )
একদিন সন্ধ্যাবেলায় ক্যাম্পাসে আমরা ঘুরতে বের হয়েছিলাম কয়েকজন। সেদিন মনের সুখে সবাই এক সাথে গান গাইছিলাম। আমাদের পাশ দিয়ে রিকশা করে তিনটা ভাইয়া যাচ্ছিল তখন।
গান শুনে বলছিল, আপুনিরা একটুও ভালো হচ্ছে না তো!
আমি এরপর মনের দুঃখে আর একটা গানও গাইতে পারিনি। যদিও আমরা গাইছিলাম নিজেদের জন্য, কাউকে শোনাতে না। কিন্তু তারপরও মনটা উদাস হয়ে লজ্জায় একাকার হয়ে গেছিল!
আমি বুঝিনা এরকম কাশি কাশি ফ্যাসফ্যাসে কণ্ঠস্বরের একটা মানুষকে কেন মানুষের গান গাইতে বলে লজ্জা দেয়া লাগে!
কেউ যখন বলে, একটা রিকোয়েস্ট করি তোমাকে?
আমি আগেই বলে দেই, গান গাইতে বলবা না।
ঘুমের বড়ি নামক এক ব্লগার আছে। আমার ছোট ভাই, ছোট্ট বন্ধু।
আমার রিকোয়েস্টে ব্লগে নিক নিয়েছিল। ওকে একসময় আমি অনেক গান শুনাতাম। সে কখনো বলতো না, ভালো হয়নি! মাঝে মাঝে আল্লাদ করে বলতো, আপু আমি কি একটি গান গাইতে পারি?
আমার খারাপ গান শুনে বোধহয় সে গান গাওয়ার অনুপ্রেরণা পেত!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।