ভাল পাঠক হলেও নিজে কিছু লিখতে পারি না,মনের ভাবটা তাই ঠিকমত প্রকাশ করতে পারিনা....... ফারুক খানকে উলংগ করে মারল বিএসএফ!
সীমান্ত মতিনিধি:
বেসরকারী বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খানকে বেনাপোল সীমান্তে উলংগ করে মেরেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর সদস্যরা।
গতকাল ফারুক খান সীমান্ত পরিদর্শনে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী মতিনিধিকে জানান, ফারুক খান গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে সীমান্ত এলাকাপরিদর্শন করছিলেন। এমন সময় বিএসএফ এর একটি জীপগাড়িতে করে সাত আটজন সশস্ত্র জওয়ান এসে তাকে পাকড়াও করে। ফারুক খান তাদের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করেন।
বিএসএফ তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ফারুক খান। জবাবে বিএসএফ জানতে চায়, কেন তিনি ফারুক খান? কেন তিনি ভাত রুটি কলা খান না? কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিএসএফ ‘ফারুক’ খাওয়ার অপরাধে ফারুক খানকে উলংগ করে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে প্রহার করা শুরু করে। ফারুক খান নিজের পরিচয় দিলে তারা বলে, তিনি বানিজ্য মন্ত্রী থাকাকালে বর্ডারে চোরাচালানী বেশি হতো, টেকাটুকা বেশি কামাই করা যেত। কেন তিনি বিমান মন্ত্রী হলেন? এই বলে তারা ফারুক খানের নিতম্বেলাঠি দিয়ে বিশ পচিশটি বাড়ি দেয়।
পরে দেশে ফিরে এসে ফারুক খান সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে ফারুক খান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তারা আমার পুটু মারেনি, তবে পুটুতে মেরেছে। তবে তারা শুধু পুটুতে মেরেছে, অপমান করতে পারেনি।
নয়াদিল্লী এই ঘটনার জন্য‘সরি’ বলেছে। প্রহারকারী দশ জওয়ানকে বহিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এই বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে আমরন অনশন করবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
দীপু মনি বলেন, নিরীহ জওয়ানদের পরিবারের কথা ভাবতে হবে। সামান্য অপরাধে তাদের শাস্তি দেয়া ঠিক হবে না।
সাহারা খাতুন দীপু মনিকে সমর্থন করেন।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, কলামিষ্ট ও গান্ধীবাদী আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, গান্ধীজী অহিংসায় বিশ্বাস করতেন। তিনিও যীশুর মত বলতেন, এক গালে চড় মারলে অন্য গাল ফিরিয়ে দাও।
ফারুক খান পুটুতে লাঠির বাড়ি খেয়ে অন্য পাশ ফিরিয়ে দিতে ভুলে গেছেন। মকসুদ অবিলম্বে ফারুক খানকে পুনরায় বেনাপোল সীমান্তে গিয়ে অন্য পাশে লাঠির বাড়ি খেয়ে আসার আহ্বান জানান।
¤দৈনিক মতিকন্ঠ¤ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।