Click This Link
Click This Link
পুলিশের বড় বড় কর্মকর্তাদের জীবনও আজ নিরাপদ নয়_ জামায়াত-শিবিরের হাতে। তারা ইতোমধ্যে তা বহুবার দেখিয়ে দিয়েছে। যদি এ ব্যাপারে সরকারি অবহেলা দূর না হয় অবিলম্বে- তবে জীবন রক্ষার্থে ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালনে পুলিশ কেন অগ্রসর হবে? সরকার কি তাদের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে? অথচ দুর্দিনটা শুধু সরকারি দলের নয়_ দুর্দিনটা দেশের এবং দেশের জনগণের দল-মত-ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে। তবুও প্রয়োজনীয় সতর্কতা বজায় রেখেই তাদের ওপর দেশবাসীর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সদা-সক্রিয় থাকার জন্য পুলিশ-র্যাববাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
রণেশ মৈত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতে না হতেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা ও বাঙালি জাতিকে সমূলে নিধন করার লক্ষ্যে যে জামায়াতে ইসলামী-পাকিস্তানের আমির রাজাকার বাহিনী ও পরে তার বিশ্বস্ততম শিষ্য মওলানা নিজামী আলবদর বাহিনী গঠন করেছিলেন এবং ওদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে সর্বাগ্রে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল অপরাপর ইসলামী দলগুলোকে তাদের বিশ্বস্ত সঙ্গীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে, সেই গোলাম আযম মাত্র কয়েকদিন আগে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গ্রেপ্তার হওয়াতে দেশজোড়া আনন্দ মিছিল করতে গিয়ে, আনন্দের আতিশয্যেই কিনা জানি না, অনেককেই বলতে শুনেছি- এবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে নতুন গতিবেগ পেল।
এ কথা ঠিক, যুদ্ধাপরাধীদের পালের গোদা গোলাম আযম, বাঙালি জাতি ও ধর্মনিরপেক্ষতা ও হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের চরমতম শত্রু গোলাম আযমের দীর্ঘ ৪০ বছর পর গ্রেপ্তার হওয়ায় মানুষের, বিশেষত দেশপ্রেমিক স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের কাছে অতিশয় আনন্দের একটি ব্যাপার। কিন্তু শুধু এ গ্রেপ্তারের মাধ্যমেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে নতুন মাত্রা পেল বা তাতে নতুন গতিবেগের সঞ্চার হলো- এমন ধারণা আদৌ বাস্তবাযুগ নয়। এ বিষয়টি নিয়ে আমার নিজস্ব ভাবনা প্রকাশের আগে আমি আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। তিনি আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন_ গ্রেপ্তার হননি। তার বিরুদ্ধে আদালতে আনীত অভিযোগপত্র বিবেচনা করে তাতে সন্তুষ্ট হয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা ওই অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে অভিযুক্ত গোলাম আযমকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিস্ময়করভাবে দেখা গেল, ওই আদেশের পরপরই অভিযুক্ত মারাত্মক ধরনের আসামি গোলাম আযমের পাশে বসা তারই সুযোগ্য সন্তান কিন্তু কোন অধিকারে পুলিশ তা করতে দিল। বাবাকে জেল গেটে পেঁৗছে দিতে প্রয়োজনে তিনি তো তার ঐতিহাসিক বাবা যে এসি গাড়িতে করে আদালতে হাজির হতে গিয়েছিলেন- সেই রাজসিক গাড়িতে করে পুলিশ ভ্যানের পেছন পেছন জেল গেট পর্যন্ত যেতে পারতেন এবং সালাম জানিয়ে বিচারে নিরপরাধ প্রমাণিত হয়ে সসম্মানে বের হয়ে আসার প্রার্থনা জানাতে পারতেন। তা নয়_ তিনি একেবারেই পুলিশ বা ভ্যানে বাবার পাশে বসে দিব্যি প্রকাশ্য-গোপন নানা আলাপ করতে করতে গেলেন, টিভি চ্যানেলে দেখলাম। দেখার ইতি কিন্তু এখানেই ঘটেনি। পরে দেখা গেল ওই দিনই তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়েছেন।
কী রোগ হঠাৎ করে তাকে আক্রমণ করে বসল_ তা কিন্তু কাউকে জানানো হলো না বা কার চিকিৎসাধীনে রয়েছেন_ তাও না। কোন ওয়ার্ডে, কত নাম্বার বেডে রয়েছেন_ তাও বলতে শুনিনি। তার এ রোগ কি কোন গোপন রোগ যে তা জনগণকে জানানো অসমীচীন বলে বিবেচিত হলো? আর জেলে যেতে যেতে বা যেতে না যেতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেনই বা কী করে? আত্মসমর্পণের সঙ্গে তার তো কোনো অসুস্থতার কথা শুনিনি বা তাকে কোনো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার কথাও কোনো পত্রিকায় প্রকাশিত হতে দেখিনি। হঠাৎ তা হলে কী হলো যে তাকে অত বিখ্যাত ও দামি চিকিৎসা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রিজন সেলে নিতে হলো? তবু পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পর্কে বিশেষ করে হার্টের পরীক্ষার পর তো ডাক্তাররা তাকে সে ব্যাপারে সুস্থ বলে মত দিয়েছেন। অন্য যা যা অভিযোগ সেগুলোর চিকিৎসা দিব্যি জেল হাসপাতালেই হতে পারে।
কিন্তু সে পথে যাওয়া হবে কি? তাকে কারাগারে যে মর্যাদা দেয়া হলো_ তা কি ভিআইপি মর্যাদা? যা কোনোদিন বঙ্গবন্ধুকেও দেয়া হয়নি? অতঃপর দেখা যাক গতিবেগ সংক্রান্ত অপরাপর বিষয়াদি। পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খোন্দকারের নেতৃত্বে গঠিত মুক্তিযুদ্ধ সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামতো অনেক আগেই প্রথম চালানে ৫০ জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রদান করেছেন। যাদের এখন কারাগারে দেখছি_ তারা ছাড়াও তো আরো ৪০ জনেরও অধিক এখনো বাকি। তারা তো দিব্যি আরাম-আয়েশে নিশ্চিন্তে খেয়ে-দেয়ে নাদুসনুদুস হচ্ছেন। শত শত কোটি টাকা তো তাদের দলীয় তহবিলে আছে যা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আনীত মোকদ্দমাগুলোর পরিচালনার জন্য ব্যয় করা হবে।
সেই অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না কেন? কারাগারে পূর্বাহ্নে আটক করে রেখেই তো গুরুতর মামলার অপরাধীদের বিচার করা চিরকালের প্রচলিত নিয়ম। নইলে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীদের প্রভাবিত করা বা আত্মগোপনে দেশের কোনো অঞ্চলে বা বিদেশে পালিয়ে যাওয়া তো অসম্ভব কিছু নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা থেকে এ ব্যাপারে শিক্ষা নিয়ে তাদের আটক করা অত্যন্ত জরুরি। এ লোকগুলো তো টাকা ও অপরাপর কারণে সমাজে যথেষ্ট প্রভাবশালী তারা তো ইতোমধ্যে যাদের আটক করে বিচার আমলে নেয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি তালিকায় রাখা সাক্ষীদের প্রভাবিত করা- ভয়ভীতি দেখিয়ে আদালতে মিথ্যে সাক্ষী দেয়ানো এবং প্রয়োজনে হত্যা বা গুম করা তো অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই তদন্তের আগে গ্রেপ্তারের বিধান যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আইনে না থাকে_ তবে অবিলম্বে তেমন আইন প্রণয়ন করে তাদের দ্রুত কারাগারে ঢুকানোর ব্যবস্থা করা হোক।
নতুবা এ মোকদ্দমাগুলো না পাবে আকাঙ্ক্ষিত গতিবেগ_ না পাবে মানুষের কাছে কোনো আশাবাদ। আমি এ প্রসঙ্গে অনুরোধ জানাব মুক্তিযুদ্ধ সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম কর্তৃপক্ষকে যুদ্ধাপরাধীদের নাম সব ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার জন্য। নইলে তাদের সামনে কাজের তালিকা যে কত দীর্ঘ তা তারা সত্যই অনুধাবন করতে পারবেন না। এ কথা ঠিক, তদন্ত কর্তৃপক্ষ, প্রসিকিউটর টিম এবং বিচারক, সবই সংখ্যায় অত্যন্ত অল্প। এর ওপর সরকার বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরু করবে।
যদি সরকারের এ কথাটি সত্য হয় তবে অবিলম্বে যথেষ্টসংখ্যক বিচারক, প্রসিকিউটর এবং তদন্ত কর্মকর্তার নিয়োগ প্রদান করা হোক এবং নতুন ট্রাইব্যুনালের আদালত কক্ষ, বিশ্রাম কক্ষ, আইনজীবী ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বসার উপযুক্ত ব্যবস্থা এবং যাবতীয় নথিপত্র ঠিকমতো নিরাপদে রাখার ব্যবস্থাদি অগ্রিম করা হোক। নইলে এ কাজগুলো শেষ করতে ২০১২ সাল পার হয়ে যাওয়া বিচিত্র কিছু হবে না। এ ব্যাপারে প্রথম ট্রাইব্যুনাল-প্রসিকিউটার্স ও তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ এবং উপযুক্ত আদালত কক্ষাদি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অতীতের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত করুণ_ যথেষ্ট কালক্ষেপণ করা হয়েছিল- যা কিছুতেই ভুলে যাওয়ার নয়। আর্থিক প্রশ্নে বহুকাল আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, (সম্ভবত ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নকালে) যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ১০ কোটি টাকার বিধান রাখা হয়েছে। এ সময়কালের মধ্যে এ ব্যাপারে সরকারি তরফ থেকে আর কোনো উচ্চ-বাচ্য শোনা যায়নি।
জানি না, পরবর্তী বাজেটগুলোয় এ ব্যাপারে প্রয়োজনানুযায়ী অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কিনা। যদি তা হয়েও থাকে_ তবে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন উপলক্ষে আরো অনেক বেশি পরিমাণ বরাদ্দ সামগ্রিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য নির্দিষ্ট করা অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে এ ব্যাপারে তহবিল সংগ্রহের ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি উভয়ভাবেই বিদেশের কাছে আবেদন জানানো হোক। এতে বিপুল সাড়া পাওয়া যাবে। আমি তো মনে করি আর একটি নয় অন্তত পাঁচটি ট্রাইব্যুনাল বিভাগীয় ভিত্তিতে গঠন করা উচিত।
নইলে আগামী ২০ বছরেও সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সমাধা করা কোনোক্রমেই সম্ভব হবে না। আর ততদিন কোনো একটি সরকার ক্ষমতায় থাকার মতো রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বাংলাদেশে বিরাজও করছে না। তাই সব ভ-ুল হয়ে যেতে পারে- এমন আশঙ্কা আদৌ অমূলক নয়। স্মরণে রাখা প্রয়োজন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম অবাধে চালাতে গেলে অবশ্যই ব্যাপক জনমত তার অনুকূলে থাকতে হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই নানা কারণে সরকার তার জনপ্রিয়তা যথেষ্ট পরিমাণে হারিয়েছেন।
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক এবং বিরামহীন বৃদ্ধি, ভোজ্যতেল এবং জ্বালানি তেলের মূল্যও একইভাবে নিয়মিত বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতি, অস্বাভাবিক দলীয়করণ, আইনের শাসনের প্রতি চরম অবহেলা, বিচারবহির্ভূত হত্যালীলা, নিত্যদিন ভয়াবহ নারী নির্যাতন এবং তার প্রতিরোধে সরকারের সীমাহীন অনীহা ২০০৮-এর জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখতে স্বাভাবিকভাবেই পারেনি। মানুষের কাছে তার জীবনের দৈনন্দিন সমস্যা যথেষ্ট বড়। সেই সমস্যাগুলো সমাধান দ্রুত করার জন্য সব কিছুর মূল্য, প্রয়োজনে ভর্তুকী দিয়েও, বর্তমানের তুলনায় অন্তত অর্ধেকে নামিয়ে আনা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, জনমত অনুকূলে দৃঢ়ভাবে সংগঠিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষীয় অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও আদর্শনিষ্ঠ সব রাজনৈতিক দল, শক্তি ও ব্যক্তির কার্যকর ঐক্য গড়ে তোলে কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা এবং সম্ভব হলে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সব যুদ্ধাপরাধীর আশু বিচারের দাবিতে প্রবল গণআন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। পত্র-পত্রিকায় এ বিষয়ের নানাদিক নিয়েও অধিকতর পরিমাণে লেখালেখিরও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি।
তা কিন্তু করার কথা ছিল না কারণ অঙ্কটি অত্যন্ত সোজা। পুরনোকালের বহু প্রচলিত প্রবাদ বাক্যে বলে, 'দশের লাঠি একের বোঝা। ' এ প্রবাদ বাক্যটি আজকাল বই-পুস্তকে তেমন না পাওয়া গেলেও বিষয়টি বা তার অন্তর্নিহিত মর্মার্থ সবারই ভালো মতো জানা আছে। এমন কি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষও, কারো কারো সঙ্গে কারো কারো দ্বন্দ্ব-কলহ-ঝগড়া থাকলেও কোনো বিপদ এলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবেলা করে থাকেন। গ্রামের অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মানুষ যা বোঝেন-শিক্ষিত ও পরিপক্ব রাজনীতিকরা তা বোঝেন না- এমন নয়।
কিন্তু তারা রোগাক্রান্ত। ভয়ানক একটি রোগে ভুগছেন তারা। সে রোগটি হলো অহমিকা। নিজেকে অতি বড়- অতি বুদ্ধিমান এবং সবকিছু করার মতো একমাত্র ক্ষমতাধারী- সুতরাং অন্যকে ঐক্যের জন্য বলব কেন? অনুরোধ-আবেদন জানানো তো দূরের কথা। তারা দেশের সব সঙ্কটকেই অতিশয় ক্ষুদ্র মনে করেন_ কোনোক্রমেই বুঝতে রাজি হন না, মাত্র তিন বছর যেতে না যেতেই ক্ষমতাসীন বৃহৎ দলটির পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত।
অবহেলা করলে বা এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। পুলিশের বড় বড় কর্মকর্তাদের জীবনও আজ নিরাপদ নয়_ জামায়াত-শিবিরের হাতে। তারা ইতোমধ্যে তা বহুবার দেখিয়ে দিয়েছে। যদি এ ব্যাপারে সরকারি অবহেলা দূর না হয় অবিলম্বে- তবে জীবন রক্ষার্থে ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালনে পুলিশ কেন অগ্রসর হবে? সরকার কি তাদের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে? অথচ দুর্দিনটা শুধু সরকারি দলের নয়_ দুর্দিনটা দেশের এবং দেশের জনগণের দল-মত-ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে। তবুও প্রয়োজনীয় সতর্কতা বজায় রেখেই তাদের ওপর দেশবাসীর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সদা-সক্রিয় থাকার জন্য পুলিশ-র্যাববাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
পদ্মপত্রে নীড়ের মতো পাকিস্তানের গণতন্ত্র ঠলকে পড়তে চলেছে_ বাংলাদেশেও তেমন ঘটনা ঘটাতে একটি চিহ্নিত কুচক্রী মহল তৎপর যে হবে না- নিশ্চিতভাবে তা বলা যায় না। আর তা যদি ঘটে তবে সমূহবিপদ। অন্যপক্ষে প্রয়োজনীয় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে যুদ্ধাপরাধীদের সবার এবং ত্বরান্বিত বিচারের দাবি আজও অশ্রুত। কিন্তু তেমন ঐক্য গড়ে তুলে দেশে ব্যাপকতম জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে সারা দেশে যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সভা-সমাবেশ-মিছিল-মানববন্ধন প্রভৃতির মাধ্যমে গণজোয়ার সৃষ্টি করা হতো-নিশ্চিতভাবেই তার ফলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজে আকাঙ্ক্ষিত গতিবেগের সৃষ্টি হতো। সব দেশদ্রোহী অপশক্তি চক্রান্তকারীরাও সে অবস্থায় চুপসে যেতে বাধ্য হতো।
তারা জানে যে তারা মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি। কিন্তু আমরা বুঝি না যে আমরা বিজয়ী শক্তি- তাই আমাদের দায়িত্ব সর্বাধিক। রণেশ মৈত্র : রাজনীতিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক ৎধহবংযসধরঃৎধ@মসধরষ.পড়স ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।