চারটি থেকে বেড়ে ২৯টি অপারেটর হলেও দেশে আগত বৈদেশিক কলের পরিমাণ বাড়েনি। আগে যে আন্তর্জাতিক কল চার আইজিডব্লিউ (ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটর) অপারেটর ভাগ করে নিত এখন তা হচ্ছে ২৯ ভাগে। ভাগ বাটোয়ারা হতে হতে কলের পরিমাণ হাতে আর তেমন না থাকায় অপারেটরা বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক প্রতিযোগিতা মেতে উঠেছেন। এতে একদিকে সরকার যেমনি রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি অপারেটররা আইনকানুন না মেনে বেপরোয়া হয়ে ওঠায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
প্রতিটি আন্তর্জাতিক কলে ৩ সেন্ট করে নেয়ার নিয়ম থাকলেও অপারেটররা তাদের আয় বাড়াতে ২, কখনোবা ২ সেন্টেরও কম নিয়ে অসম প্রতিযোগিতার জন্ম দিচ্ছে।
এ ছাড়া বাড়তি কল আনতে না পারায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে অপারেটরগুলোর রাজস্ব ভাগাভাগি হচ্ছে না। অপারেটরগুলোর বকেয়া এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে। গত মার্চ মাসে যার পরিমাণ ছিল ৫৩৩ কোটি টাকা। বিটিআরসির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। কিন্তু অপারেটরগুলোর সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অনেকে জড়িত থাকায় রাজস্ব ভাগাভাগির টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে কমিশনের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে।
অনেকে নির্বাচনী তহবিল জোগাড়ের সুযোগ সন্ধানে থাকায় সরকারকে কোনো টাকা পয়সা দিচ্ছে না। তবে বকেয়া আদায়ে প্রয়োজনে কমিশন কঠোর হবে বলে জানা গেছে। (বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।