বাস্তবতাময় প্রকাশ্য পাড়ার নামকরা বেশ্যাকে যখন চৌধুরী'সাব ঘরে তুললো! কোথাও ছি..ছি.. রব ওঠেনি! বেশ্যাকে নিয়েই চৌধুরী'সাব সাড়ে চার বছর সংসার করলো! তবুও কোথাও ছি..ছি.. রব উঠলো না! কিন্তু বেশ্যাটি যখন নিজের দাম বাড়াতে নিজের বিগত অথচ এখনো কাম জাগানিয়া যৌবন আরেকটু উন্মুক্ত করে, চৌধুরী'সাব আর খান'সাবের সাথে দরকষাকষি শুরু করলো! কামুক চৌধুরীসাব আর লম্পট খানসাব যখন বেশ্যাকে নিজের ঘরে নেবার জন্য বেশ্যার জলসাখানায় ধর্না দেয়া শুরু করলো..... তখন সমাজের সুশীল বিবেক নৈতিকতার দোহাইয়ে ছি..ছি.. করে উঠলো! বিবেকের কি করুন পরিহাস! নৈতিকতার কি আশ্চর্য বিপরীত্ব! বুঝলাম, চৌধুরী'সাব না হয় কামুক! খান'সাব না হয় লম্পট! তারা অবৈধ বাসনায় বেশ্যাকে ঘরে নিতে চায়, বেশ্যার ভাত খেতে চায়।। কিন্তু হে সমাজ, তোমরা কি? আজ তোমরা নৈতিকতা ফলাচ্ছো, বেশ্যাকে নিয়ে টানাটানি দেখে ছি..ছি.. করছো! অথচ চৌধুরী'সাব যখন বেশ্যাকে ঘরে তুললো, তোমরা কোন কথা বল নি! বেশ্যার সাথে সাড়ে চার বছর সংসার করলো চৌধুরী'সাব, তোমরা নিরব ছিলে! কেন? কেন সমাজ? কেন? আমি জানি, এ প্রশ্নের কোন উত্তর নেই! সময়ে নিরব থাকা আর অসময়ে সরব হওয়াই যে এ সমাজের ধর্ম! তাই শরীর বেশ্যাকে নিয়ে চৌধুরী'সাব আর খান'সাবের টানাটানির মতো, রাজনৈতিক বেশ্যা এরশাদকে নিয়ে যখন আওয়ামী চৌধুরী'সাব আর বিএনপি খান'সাব টানাটানি করছে, তখন সমাজ গনতন্ত্রের দোহাইয়ে ছি..ছি.. করছে। অথচ আওয়ামীলীগ যখন সৈরাচার এরশাদকে জোটে তুললো, এ সমাজ তখন কথা বলেনি! সৈরাচারের সাথে সাড়ে ৪ বছর সরকারি সংসার করলো আওয়ামীলীগ, এ সমাজ তখন নিরব ছিলো! হয়তো সমাজ ভেবেছিলো- 'নিরবতা হিরন্ময়'। কিন্তু একি? নিরবতা তো হীরার জন্ম দেয়নি! বরং ছি..ছি.. জন্ম দিয়েছে! আসলে নিরবতা হিরন্ময় তবে অনৈতিক বিষয়ে নিরবতা ছি.ছি.ময়।।।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।