এইচ এম এরশাদ ঘোষণা দিয়েছেন, আরেকটি জোট গঠন করে মহাজোট ছাড়বেন। অন্যরা বলবে আপনি আগেরটা ছাড়েননি, নতুন জোট হবে কীভাবে? এ বিতর্কের মধ্যে মানুষ মনে করবে জাতীয় পার্টির (জাপা) মধ্যে ইমানের সমস্যা আছে। তারা এর মধ্যে যাবে না। মহাজোটে থাকা যদি জাতীয় পার্টি নৈতিক মনে না করে তাহলে আছে কেন? যতক্ষণ আছে ততক্ষণ নীতির বিরুদ্ধে কাজ হচ্ছে। ছেড়ে দিয়ে দুটি লোক পান বা না পান, নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে সাবেক রাষ্ট্রপতিকে।
শুক্রবার বাংলাভিশনের টকশো 'নিউজ এন্ড ভিউজ'-এ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথা বলেন। মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সঞ্চালক বলেন, যখন নতুন একটি জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে আর এরশাদ সাহেব সেখানে যোগদানের প্রক্রিয়ায় আছেন, সেই মুহূর্তে কাদের সিদ্দিকী এরশাদকে উদ্দেশ করে বললেন, 'বেশি খেলা ভালো নয়। বেশি খেললে ডুবে মরতে হয়। এরশাদ সাহেব এখনো মহাজোটের মধ্যে আছেন।
মহাজোট ছাড়ার আগে তার সঙ্গে কোনো কথা নয়। ' এমন বক্তব্য নতুন জোট গঠনে কী প্রভাব ফেলবে? জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কোর্টের বিচারকরা মাঝে-মধ্যে বিব্রত হন। আমার এখন বিব্রত হওয়ার পালা। তবুও বলতে হবে। বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী তিনটি দলের নাম বলেছেন।
বিকল্পধারা, উনি ও জেএসডি (রব)- এই তিনজন মিলে একটা ধারায় কাজ করছেন। আমাদের কথা বলেননি। বলেননি ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের কথা। অথচ আমরা একসঙ্গে কয়েকটি জনসভাও করেছি। হতে পারে সেই মুহূর্তে তার মনে পড়েনি।
তবে তার বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত যে, যতক্ষণ পর্যন্ত এইচ এম এরশাদ একটা জোটে আছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি নতুন জোট করতে পারেন না। তবে কাদের সিদ্দিকী পরে যেটা বলেছেন, তিনি বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বি. চৌধুরীর বাসায় দাওয়াতে গিয়ে দেখলেন সেখানে এরশাদ সাহেবও এসেছেন। এরশাদ সাহেব কি দাওয়াত ছাড়া এমনি এমনি গেছেন? যেহেতু ওইটা বি. চৌধুরীর বাসা, তাই তিনিই দাওয়াত করেছেন। উনারা নতুন ধারা তৈরিতে কাজ করছেন। সেখানে বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট দাওয়াত করেছেন, আর তিনি বলছেন, এরশাদের সঙ্গে জোট হতে পারে না! আমি মনে করি এখানে বৈপরীত্যটা খুবই বেশি।
জনাব কাদের সিদ্দিকীকে আমি বিশেষভাবে সম্মান করি। অনেক বড় মুক্তিযোদ্ধা। তার কমিটমেন্টের প্রতিও আমি আস্থাশীল। তিনি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রচলিত দুটি রাজনৈতিক ধারার বাইরে অন্য কিছু তৈরি করতে চান। অথচ তার মঞ্চে বিএনপির নোমান ভাই উপস্থিত ছিলেন।
তারা তিনজনে মিলে একটা কাজ করছেন। আর তিনজন তিন রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। এভাবে জোট হবে কীভাবে? মান্না বলেন, দুই নেত্রী যার যার অবস্থান স্পষ্ট করতে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার মধ্যে সমঝোতার কোনো আলামত নেই। কিছুই যখন হচ্ছে না তখন শেষ ভরসা প্রধানমন্ত্রীর ওপর রাখতে চাচ্ছি। যেহেতু তিনি বলেছেন, দেশের স্বার্থে তিনি বড় যে কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত আছেন আর সর্বোচ্চ ছাড় বলতে আমি একটা কথাই বুঝি, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।