আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী হিজবুত তাহরীরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান!!

গত পরশু (১৬ জানুয়ারী ২০১২) আমি শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে নিচের পোস্টারটি সাঁটা। আপনারা যেমনটা দেখতে পাচ্ছেন এই পোস্টারে সরাসরি সেনা অভ্যুত্থানের উষ্কানী দেয়া হয়েছে। আজ কিছুক্ষন আগে জানতে পারলাম বাংলাদেশের সেনাসদর এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, "সম্প্রতি কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের ইন্ধনে অবসরপ্রাপ্ত এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত কতিপয় ধর্মান্ধ কর্মকর্তা কর্তৃক অন্যান্যদের ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে দূরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার একটি বিফল প্রয়াস চালানো হয়। এই অপপ্রয়াসটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিহত করা হয়েছে।

" এই সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, "এই বিষয়টি গত ০৩ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাটি ‘হলুদ সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে দেশে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াসে পলাতক মেজর জিয়ার ইন্টারনেটের বার্তাটি প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মান্ধ ‘হিজবুত তাহরীর’ সংগঠন পলাতক মেজর জিয়ার ইন্টারনেটে প্রেরিত বার্তাটিকে ভিত্তি করে দেশব্যাপী উস্কানিমূলক লিফলেট ছড়ায়। তার একদিন পর গত ০৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে দেশের একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলও উপরোক্ত মনগড়া, বিভ্রান্তিক ও প্রচারণামূলক সংবাদের সাথে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীতে ‘গুমের ঘটনা ঘটছে’ বলে অভিযোগ করে। যা সেনাবাহিনী তথা সকল সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অনাকাংখিত উস্কানিমূলক বিতর্কের সৃষ্টি করে। " উক্ত ৩ জানুয়রিতে প্রকাশিত আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটির লিংক এখানে দেয়া হল।

এখন গণতন্ত্রের পক্ষে মৌলবাদ-বিরোধী দেশের সকল নাগরিক যদি "হিজবুত তাহরীর"-এর মত দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে একত্র না হন তাহলে আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।